প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শেষ হলেই খুলে দেওয়া হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
আজ শনিবার (৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ঈদুল ফিতরে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মানুষ গ্রামে গিয়েছিল বলেই করোনা সংক্রমণ এতটা বেড়েছে। গত ঈদে নিষেধ করা সত্ত্বেও মানুষ বাড়ি গিয়েছিল, তখন সরকারের কথা শুনলে এখন হয়তো পরিস্থিতি এতটা খারাপ হতো না বা সংক্রমণও এতটা বাড়ত না।
তিনি আরও বলেন, টিকার জন্য সব দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ করা হচ্ছে। আমরা দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেব। বেশি মূল্যে কেনা হলেও জনগণ বিনামূল্যেই পাবেন করোনার টিকা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সংসদে নিজের মতামত সরাসরি ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া শিখবে কিন্তু এটার জন্য জেনেশুনে মৃত্যুর মুখে তাদের আমরা ঠেলে দিতে পারি না। স্কুল বন্ধ এজন্য একটু ক্ষতি হচ্ছে। টিকা দেওয়ার পরে আমরা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেব। শিশুরা লেখাপড়া শিখবে কিন্তু এটার জন্য জেনেশুনে তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেব কিনা তা মাননীয় সংসদ উপনেতা একটু বিবেচনা করবেন। বলার জন্য বলতে পারেন, কিন্তু এটাও একটু চিন্তা করবেন ছেলেমেয়েদের মৃত্যুর মুখে দেবেন কিনা?’
চলতি একাদশ সংসদের ১৩তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষাখাতের উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সর্বস্তরে শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে যাচ্ছি। বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি। করোনাকালে স্কুল শুরু হবে এজন্য শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেস, জুতো, ব্যাগ কেনা ও স্কুল ফিডিংয়ের জন্য বাজেটে টাকা রেখেছি। স্কুল বন্ধ আছে কিন্তু পড়াশুনা যাতে বন্ধ না হয় সেজন্য সংসদ টিভি চালু আছে। আমরা রেডিও উন্মুক্ত করে দিয়েছি। রেডিও’র মাধ্যমে পাঠ চলছে। যেভাবে সম্ভব পড়াশুনার কাজটি চালিয়ে রাখতে সক্ষম হচ্ছি।’