১ মে, ২০২৪, বুধবার

টিএসসির নামাজের স্থানে তালা নিয়ে যা বললেন কর্তৃপক্ষ

Advertisement

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ছাত্রীদের নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে নামাজের স্থানে তালা দেওয়া হয়েছে। আজ ১৩ এপ্রিল ভোরে এ ঘটনা ঘটে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।  উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টিএসসিতে নামাজ পড়া সাময়িক বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে টিএসসি কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরে টিএসসিতে নামাজের স্থানে প্রবেশের মূল গেটে তালা ঝুলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখানে নিয়মিত নামাজ পড়লেও তালা দেওয়ার কারণে সেখানে নামাজের জন্য প্রবেশ করতে পারছে না কেউই। নামাজ পড়তে এসে ঘুরে যেতে দেখা গেছে অনেককেই। এ নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

এর আগে গতকাল ছেলেদের নামাজের পাশে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় পার্টিশন এবং পর্দা টাঙিয়ে যোহরের নামাজ আদায় করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রী। টিএসসি কর্তৃপক্ষ বাধা দিয়ে ১০ দিনের সময় চাইলেও তা প্রত্যাখ্যান করেন তারা। যার ফলে এটিকে ‘বাড়াবাড়ি’ উল্লেখ করে ছেলেদের নামাজ পড়ার স্থানও সাময়িক বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিসা ইসলাম সাকাফি বলেন, টিএসসিতে নামাজ পড়তে এত বাধা কেন। এভাবে নামাজের স্থানে তালা দেওয়া কি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত নয়? যারা এ জঘন্য কাজ ঘটিয়েছে তাদের পরিচয় দ্রুত উন্মোচন এবং জবাবদিহি করতে বাধ্য করা হোক।

গতকাল টিএসসিতে ছাত্রীদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করতে সহযোগিতা করা ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি আসিফ মাহমুদ বলেন, যারা নামাজের বিরুদ্ধে, হিজাবের বিরুদ্ধে প্রোগ্রাম করে মোল্লাতন্ত্রের কবর রচনা করতে চায় তারাই এটি ঘটিয়েছে বলে আমরা মনে করি। আর সেখানে টিএসসি কর্তৃপক্ষের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে। আমরা এটি নিয়ে টিএসসি পরিচালকের সঙ্গে কথা বলব।

ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ আলী আকবর বলেন, গতকাল আমরা সময় চাইলেও তারা আমাদের কথা শুনেননি। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যবস্থা নিয়েছেন। টিএসসির নামাজের স্থান সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, টিএসসি সামাজিক-সাংস্কৃতিক কাজের জায়গা। এখানে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ঠিক না। আমাদের কাছে খবর আছে এখানে ধর্মীয় উসকানি দেওয়া হচ্ছে। কেউ এখানে উগ্রতার বহিঃপ্রকাশ ঘটালে শক্তভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই জায়গার পরিবর্তে সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজ পড়ার পরামর্শ দেন উপাচার্য।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement