৩০ এপ্রিল, ২০২৪, মঙ্গলবার

মেহেরপুরে লিচুর ভালো ফলনের প্রত্যাশা

Advertisement

অন্য ফলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় মেহেরপুরে লিচুর চাষ বাড়ছে। যদিও এবার জেলার আমের বাগানে মুকুল এসেছে ব্যাপকহারে। তবে গত কয়েক বছরে ফলন ভালো হওয়ায় লিচু উৎপাদনে খ্যাতি অর্জন করেছে জেলার তিন উপজেলা। চাষিরা প্রত্যাশা করছে, এবারো লিচুর ভালো ফলন হবে।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, জেলায় প্রায় ৭৫০ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। ইতোমধ্যেই অধিকাংশ গাছে মুকুল থেকে গুটি আসতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবার সাত হাজার ৫০০ টন লিচু উৎপাদন হতে পারে। যা থেকে ৫০ কোটি টাকার লিচু বিক্রি হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

মেহেরপুরে কয়েক বছর আগে বানিজ্যিকভাবে লিচু চাষ শুরু হলে তা লাভজনক হওয়ায় অনেকে মিশ্র ফল হিসেবে কলা বাগানে লিচুর চাষ শুরু করে। লিচু গাছ বড় হয়ে গেলে অন্য গাছ কেটে ফেলা হয়। তবে এখন লিচুকে প্রধান ফল হিসেবে উৎপাদন করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাগানে হলুদ, মরিচ ও বেগুনসহ সাথী ফসল চাষ করে কৃষক বাড়তি আয় করছেন। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর উৎপাদিত লিচু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়।

মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে জানা গেছে, গাছে মুকুল আসার আগেই অনেকে তিন-চার মাসের জন্য বাগান বিক্রি করে দেয় লিচু ব্যবসায়ীদের কাছে। আবার অনেকে লিচু গুটি হওয়ার পর বিক্রি করেন। লিচু আহরণের আগেই কয়েকবার হাতবদল হয় বাগানের মালিকানা। অনেক বাগান মালিক অধিক লাভের আশায় নিজেরাই পরিচর্যা করেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হয়। তবে বৈশাখী ঝড়ের কারণে অনেক সময় লোকসান গুনতে হয়।

মেহেরপুর সদর উপজেলার বামনপাড়া গ্রামের চাষিরা জানায়, গাছে মুকুল আসার আগে বালাই দূরীকরণে কীটনাশক স্প্রে করা হয়। প্রতি বছরই এ জেলায় কোটি কোটি টাকার লিচু উৎপাদিত হয়।

গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামের চাষিরা জানায়, অধিকাংশ গাছেই মুকুল হয়েছে। কিছু গাছে ফুল থেকে গুটি আকৃতি ধারণ করেছে। গুটি যেন ঝরে না যায়, তাতে নজর রাখছেন চাষিরা। গুটি ঝরে পড়া রোধে অনেকে বাগানে সেচ দিচ্ছেন। কৃষি অধিদফতরের পরামর্শে দেয়া হয়েছে সারও।

ভাটপাড়া গ্রামের চাষিরা জানায়, লিচু বাগানে লাভ বেশি হওয়ার কারণে জেলায় এ ফলের চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া এলাকার চাষিরা জানায়, জেলায় দেশী আঠি লিচু, বুম্বাই, চায়না-৩-সহ কয়েক জাতের লিচু চাষ হচ্ছে। প্রতিবারই লিচুর ফলন ভালো হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারো আশানুরূপ ফলন হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement