ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমেছে। দেশটিতে নতুন করে ৮৬ হাজার ৪৯৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা গত ৬৬ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। আর এ নিয়ে টানা ৬৩ দিন পর দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ এক লাখের নিচে নামল। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৯০ লাখ ছাড়িয়েছে।
এছাড়াও একই সময়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ১২৩ জনের। এনিয়ে দেশটিতে মোট ৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৯ জন মারা গিয়েছে।
মঙ্গলবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটিতে গত ৩ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা শেষবার ৯০ হাজারের কম ছিল। তারপর তা ৪ লাখেও পৌঁছেছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯৭ হাজার ৯০৭ জন।
ভারতে করোনা সংক্রমণের দিক থেকে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্য। এর পরে রয়েছে যথাক্রমে কর্নাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ।
গত কয়েক সপ্তাহে দেশটিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশটিতে জাতীয় টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় ২৩ কোটি ৬১ লাখ মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে।
দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে ১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে বিনা মূল্যে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। গতকাল বিকেলে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণে এ কথা জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ২১ জুন থেকে এই লক্ষ্যে সব রাজ্য সরকারকে বিনা মূল্যে টিকা সরবরাহ করা হবে।
করোনা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে ১ মে থেকে সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে (১৮ বছরের ঊর্ধ্বে) টিকাদানের কর্মসূচি হাতে নেয় ভারত। এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ২৩ কোটি ৬১ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারস শুরু থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের করোনা বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য দিয়ে আসছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পরই রয়েছে ভারত। ভারতের পর রয়েছে ব্রাজিল। আর মৃত্যুর দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরই রয়েছে ভারত।
ভারতে সংক্রমণ ‘বিস্ফোরণের’ জন্য করোনার ভারতীয় ধরনকে অনেকাংশে দায়ী করা হয়। করোনার ভারতীয় ধরনগুলোর মধ্যে একটিকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে বিবেচনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।