ফুটবল অঙ্গনের সবার প্রিয় অমিত ভাই, কাজ করেছেন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে। ৩০ বছর ধরে চাকরি করছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে, যেখানি তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন মিডিয়া বিভাগের প্রধান হিসেবে। সবার প্রিয় সেই অমিত ভাইকে আজ (সোমবার) চিরতরে মায়ের কবরে দাফন করা হলো। তার শেষ ইচ্ছে ছিলো মায়ের কবরেই যেন তাকে দাফন করা হয়। তার পরিবার সেই ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়েই দুপুরে আজিমপুর কবরস্থানে মায়ের কবরে শায়িত করেছেন অহসান অমিতকে।
এর আগে রোববার রাতে সড়ক পথে বেনাপোল থেকে ঢাকায় আনা হয়। সোমবার সকালে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় গোপীবাগে। আর দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় তার প্রিয় জায়গা বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামে। কঠোর লকডাউনের মধ্যেও ক্রীড়াঙ্গনের অনেক মানুষ শরিক হয়েছিল অমিতের জানাজায়। শেষ বিদায় জানিয়েছেন প্রিয় মানুষটিকে। বাফুফের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ, সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ, জাকির হোসেন চৌধুরী, আমের খান, মহিদুর রহমান মিরাজ, ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য সৈয়দ রিয়াজুল করিমসহ ফেডারেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের জানাজায়।
ফুটবল ফেডারেশনের হেড অব মিডিয়া হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকায় দেশের ক্রীড়া সাংবাদিকদের সাথেও তার ছিলো সখ্যতা অমিতের জানাজায় শরিক হয়েছেন তারাও। প্রিয় অমিত ভাইকে অশ্রুসিক্ত চোখে চিরবিদায় জানিয়েছেন দেশের ক্রীড়া সাংবাদিকরাও।
অমিতের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাফুফে, টেবিল টেনিস ফেডারেশন ও বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনসহ অনেক সংগঠন। মাত্র ৪৩ বছর বয়সে অমিত গত বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় মারা যান দিল্লির একটি হাসপাতালে।