মানবদেহের জন্য ‘নাক’ অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। নাক বন্ধ করলে তা বুঝা যায়। এটি যে কেবল শ্বাস-প্রশ্বাসের মৌলিক কাজটিই করে, তা কিন্তু নয়; পৃথিবীর তাবৎ গন্ধ বিচারের প্রধান অঙ্গও এই নাসারন্ধ্র। সুগন্ধ বা দুর্গন্ধ বিবেচনায় কোনটি গ্রহণীয় আর কোনটি বর্জনীয়—এই ঘ্রাণেন্দ্রিয় না থাকলে কী বিচ্ছিরি ব্যাপার হতো ভাবুন তো! আবার কথা বা সুর তৈরিতেও এ অঙ্গ অপরিহার্য। শারীরিক সৌন্দর্য বা বৈচিত্র্যেরও অনিবার্য অংশ এটি। বাঁশির মতো নাক, ভোঁতা নাক, চ্যাপটা নাক কিংবা থ্যাবড়া নাক—নাকের যে কত রকম রয়েছে, সে আর কী বলব। রিনরিনে কণ্ঠস্বর, নাকিসুরে কান্না, নাকডাকা ঘুম—কত কাজেই তো লাগে অঙ্গটি। নাকের কথা হবে আর নাকের অলংকারের আলাপ আসবে না, তা তো হয় না। এ পর্যায়ে অবশ্য হুমায়ূন আহমেদের সেই সোনার কন্যার কথা বললেই প্রায় সবটা বলা হয়ে যায়—‘হাত খালি, গলা খালি/ কন্যার নাকে নাকফুল’। ঠিকই তো, আর কোনো অঙ্গভূষণের দরকার নেই, কেবল নাকফুলেই বাংলার নারী অপরূপ।
এই যে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ, অথচ এর যত্নটা ঠিক গুরুত্ব দিয়ে নেওয়া হয় না। নিয়ম করে হাত ধোয়া, মুখ ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে যত আগ্রহ, ঠিক ততটাই অনাগ্রহ এই নাক নিয়ে। অথচ ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসসহ অসংখ্য রকমের স্বাস্থ্যহানিকর ময়লা এতে প্রতিদিন জমে থাকে। এসব ময়লা বড় ধরনের অসুখের কারণ। নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ, নাক ডাকা, নাক চুলকানো, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, হাঁচি-কাশি—কত সমস্যা। যাঁদের নাকের জটিলতা আছে, কেবল তাঁরাই বোঝেন এসব কষ্ট।
আজ ১১ মার্চ, নাক পরিষ্কার করা দিবস (ওয়াশ ইওর নোজ ডে)। ক্লিয়ার নামক যুক্তরাষ্ট্রের একটি নাক ও মুখের যত্নের পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ২০২১ সালে দিবসটি চালু হয়।