বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাই পর্বের ম্যাচে আজ (বৃহস্পতিবার) আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশের ফুটবলাররা। তাদের নিয়ে প্রত্যাশা রয়েছে দেশের সাধারণ মানুষের। স্বপ্ন দেখছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ফুটবলাররাও। ১৯৭৯ সালে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ১-০ গোলের ব্যবধানে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতেছিলো বাংলাদেশ। এর পরে কেটে গেছে ৪২ বছর। এর মধ্যে জয়ের মুখ দেখেনি বাংলার ফুটবলাররা বরং উল্টো হেরেছেন। পরিসংখ্যান বলছে ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ফুটবল ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছিলো বাংলাদেশ। একই বছর সাফ ফুটবলেও ২-২ গেলে ড্র করে লাল-সবুজরা। ২০১৫তে আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ড্র করলেও, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে রীতিমত উড়ে যায় বাংলাদেশ। ৪-০ গোলের লজ্জার হার নিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
সেসব এখন অতীত হলেও সেসময়ের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পেরেছে কি বাংলাদেশ! জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও ফুটবলার জাহিদ হোসেন এমেলি কেটিভি প্রতিদনের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে বলেন, আমরা অতীতের ভুল থেকে খুব বেশি শিক্ষা নিতে পারিনা যার ফলে আমাদের ফুটবলের গ্রাফটা দ্রুত উপরে উঠছে না। নেই না। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে আমরা হেরেছি কিন্তু এই ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমরা হেরে যেতে চাই না। যদিও তাদের বিপক্ষে জয় পাওয়াটা আমাদের জন্য খুব কঠিন তারপরও আমা রাখছি। জাহিদ বলেন, জিততে না পারলেও যেন না হারি সেই প্রত্যাশাই করছি।
ফুটবল দলের এই সাবেক ক্যাপ্টেব বলছেন, আফগানিস্তান যেমন লম্বা সময় ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ তা করতে পারেনি। আফগানরা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে দুটি বিদেশি ক্লাবের সাথে। প্রস্তুতি ম্যাচে তারা নিজেদের ভুলগুলো ধরতে পেরেছে এবং সেসব শুধরেই বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে। এসব ব্যাপার নিয়ে চিন্তা করলে আমরা তাদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছি। তাই খুব বেশি চাপ না নিয়ে পয়েন্ট ভাগ করে মাঠ ছাড়লেই আমরা খুশি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে কোন ফরম্যাটে খেলবে বাংলাদেশ এমন প্রশ্নের জবাবে এমেলি বলেন, বিশেষ করে দলের কোচ জেমি সবসময় অ্যাটাকিং মুডে খেলতে পছন্দ করেন। তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই ডিফেন্সকে শক্ত থাকতে হবে। টাইগারদের ডিফেন্স যদি ফেল না করে তাহলে সুযোগ আছে প্রতিপক্ষকে হারানোর বা ম্যাচ বাঁচানোর। কিন্তু কোন ভাবে ডিফেন্স যদি ফেল করে তখন বিপদ হয়ে যাবে। সোজা কথা শুরুতে কোন গোল খাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, দলে সেরা কয়েকজন খেলোয়াড় নেই। যার ফলে বাংলাদেশকে কিছুটা হলেও ভুগতে হবে। তবে দলের ক্যপ্টেন জামালের সাথে আমি একমত, আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমরা গতি ও স্কিলের দিক থেকে এগিয়ে আছি। তবে সেগুলো মাঠে প্রদর্শন করতে হবে। তাহলেই হয়তো আমরা আমাদের প্রত্যাশিত ফল পাবো।
বাংলাদেশ সময় আজ রাত আটটায় শুরু হবে ম্যাচটি। সরাসরি দেখা যাবে টি স্পোর্টস ও জিটিভিতে।