করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় চলমান বিধিনিষেধ সোমবার ৭ জুন মধ্যরাত থেকে ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
নতুন প্রজ্ঞাপনে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বিধিনিষেধ কঠোর হতে পারে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামীকাল সোমবার (৭ জুন) থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ বাড়তে পারে। এর মধ্যে রয়েছে সব পর্যটনস্থল, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক {বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান,(ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি}, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো সকাল ছয়টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করতে পারবে এবং আসনসংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীকে সেবা দিতে পারবে। অর্থাৎ হোটেলে বসে খাওয়া যাবে। এর আগে সময় বেধে দেওয়া ছিল না। এই সময়ে আগের মতোই দেশের সব পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকবে। সরকারি,স্বায়ত্ত্বশাসিত অফিসও একই রকমভাবে বন্ধ থাকবে।
তবে, ভারতীয় করোনাভাইরাসের ধরন ছড়িয়ে যাওয়ার সীমান্তবর্তী সাত জেলার বিষয় উদ্বিগ্ন সরকার। সেসব জেলায় কীভাবে বিধিনিষেধ আরও কার্যকর করা যায়, সেটা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশনা থাকবে প্রজ্ঞাপনে।
চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করে সরকার।
এক পর্যায়ে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল ঈদ পর্যন্ত বন্ধ ছিল। এরপর ২৪ মে থেকে অনুমতি দেওয়া হয় গণপরিবহন চলাচলের।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বিধিনিষেধ বাড়ানো বা তুলে দেওয়ার বিষয়ে সরকার চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে।