ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে বেশ কিছুদিন হলোই আলোচনায় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
এই প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসেডর হিসেবে কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছিলেন ম্যাস। এখন অনেকেই প্রতিষ্ঠানটির কাছে পণ্য না পেয়ে এর জন্য দায়ী করছেন মাশরাফিকেই। বেশ কয়েকবার ম্যাসের বাড়ীর সামনেও মানুজ জন্যকে হাজির হতে দেখা গিয়েছে।
আজ (সোমবার) ম্যাসের বাড়ীর সামনেও দেখা গেলো কয়েকজন নারী গ্রাহককে। তারা ভিড় জমিয়েছেন সেখানে। তাদের পাওনা অর্থ আদায়ে মাশরাফির সহযোগিতা চান। এ সময় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ‘শেষ নিঃশ্বাস অবধি তাদের সঙ্গে আছেন’ বলে জানান।
সোমবার রাতে মাশরাফি গণমাধ্যমে বলেন, ‘আজ যে নারীরা (ভুক্তভোগী) এসেছিলেন তাদের একটা কথাই বলেছি, আমার শেষ নিঃশ্বাস অবধি আপনাদের সঙ্গে আছি। আপনারা যতটুকু করতে বলবেন, আছি। কিন্তু আমারও সীমাবদ্ধতা আছে। আমি এটুকুই বলেছি। কেউ ভিন্ন কিছু বললে বানিয়ে বলেছে।’
আজ যে নারীরা (ভুক্তভোগী) এসেছিলেন তাদের একটা কথাই বলেছি, আমার শেষ নিঃশ্বাস অবধি আপনাদের সঙ্গে আছি। আপনারা যতটুকু করতে বলবেন, আছি। কিন্তু আমারও সীমাবদ্ধতা আছে। আমি এটুকুই বলেছি। কেউ ভিন্ন কিছু বললে বানিয়ে বলেছে
মাশরাফি বিন মুর্তজা
ই অরেঞ্জ প্রতারণা করেছে তাতে মাশরাফির দায় কেনো থাকবে সেটাই তিনি বুঝতে পারছেন না, গণমাধ্যমে তিনি বলছেন, আমার আসলে দায় কেন? আমি কি মালিক? যারাই আসছেন তাদের তো বলতে পারতাম যে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন। সেটাও তো আমি বলিনি কাউকে। বলেছি, আমি আমার মতো চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসেডর। আমার কাছে এসব বলে লাভ কী? আমি যদি তাদের শেয়ার হোল্ডার হতাম বা এমন কিছু… তাহলে একটা কথা ছিল। আইনের বাইরে গিয়ে মাশরাফি কী করবে? তারা জেলে আছে, তাদের তদন্ত হচ্ছে। সেটা তো এখন পুলিশের বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের স্পন্সর ইভ্যালি, কেউ কি তাদের কাছে গিয়েছে? আমার কাছে সুবিচার চাইবে, আমি তো মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কেউ না। আমি তো বাড়ি গিয়ে বলে আসিনি এটা করেন। আমি আওয়ামী লীগ করছি, আপনি করবেন? আপনি তো যেটা পছন্দ সেটাই করবেন। পৃথিবীর কোথাও আইনে যদি থাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসেডর দায়ভার নেবে, তাহলে আমিও নিতে রাজি আছি।’ আমি একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসডর। আমার কাছে এসব বলে লাভ কী? আমি যদি তাদের শেয়ার হোল্ডার হতাম তাহলে একটা কথা ছিল।
প্রসঙ্গত, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিকপক্ষ প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় এমন অভিযোগ জানিয়ে মামলা করেছেন।
ভারতে আটক সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ পুলিশ।