আমি এর আগে যখন ২০১১ সালের সিটি নির্বাচনে বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করেছিলাম, তখনো বলেছি এখনো বলি, আমার জোরালো দাবি ছিল সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের। আমি সব সময়ই সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে বলে জানিয়েছেন মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।
আজ ১৫ ডিসেম্বর বিকালে শহরের দেওভোগের নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন আইভী।
আইভী বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আগেও মার্কা ছিল না, কিন্তু দল সমর্থীত প্রার্থী থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে তার (বিএনপি প্রার্থীর) কী কৌশল তা আমার জানার কথা না। তবে প্রতীক মুখ্য বিষয় নয়, ব্যক্তি ইমেজের একটা ব্যাপার আছে। দেখা যাক কী হয়।
তিনি বলেন, আমি সরকার দলের হয়ে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচন করছি। পৃথিবীর সব জায়গায় ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন হচ্ছে। ভুল-ত্রুটি যা আছে তা আস্তে আস্তে ঠিক হবে। এবার ইভিএম নির্বাচনকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি।
নাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভী। মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিনে সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একাংশের নেতারা।
মেয়র পদে অন্য প্রার্থীরা হলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. রাশেদ ফেরদৌস সোহেল মোল্লা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুফতি মাসুম বিল্লাহ, খেলাফত মজলিসের সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলার সভাপতি এবিএম সিরাজুল মামুন, খেলাফত আন্দোলনের মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জয় বাংলা নাগরিক কমিটির মনোনীত প্রার্থী কামরুল ইসলাম বাবু।
সব কিছু ঠিক থাকলে মেয়র পদে লড়াইটা জমবে বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তৈমুর আলম খন্দকারের সঙ্গেই। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন আইভী। আর তৈমুর স্বতন্ত্র প্রার্থী, তার ভাষ্য- আমার মার্কা জনগণ।