আগামী ১৩ জুন থেকে মাঠে গড়াবে কোপা আমেরিকা। প্রথম দিকে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনা এই দুই দেশের যৌথ ভাবে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। করম্বিয়ায় সরকার বিরোধী আন্দোলন চলায় গত ২০ মে সেখান থেকে টুর্নামেন্টটি সরিয়ে আনার ঘোষণা দেয় কনমেবল। ফলে কোপা আমেরিকর ১০৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমাবরের মত যৌথ ভাবে কোপা আমেরিকা আয়োজনের ইতিহাস আর গড়া হয়নি।
এর পরে আর্জেন্টিনা একক ভাবে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে চাইলেও করোনার কারণে সেখান থেকেও টুর্নামেন্টটি সরিয়ে আনা হয় ব্রাজিলে। তবে সেখানেও তৈরি হয়েছে নতুন শঙ্কা। করোনা পরিস্থিতি ব্রাজিলেও বেশ খারাপ। তাই কোপা আমেরিকার আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ব্রাজিলের বিরোধীদল ওয়ার্কাস পার্টি। বিরোধী দলের আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্রাজিলে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি, জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি এসব বিবেচনায় নিয়ে বোলসোনারোর সরকারের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বিচারক রিকার্দো লেভানদোভস্কি। ফলে কোপা আমেরিকার ভবিষ্যৎ আবারও পড়েছে অনিশ্চয়তার।
এর আগে, আর্জেন্টিনাকে আয়োজক থেকে বাদ দেওয়ার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ব্রাজিলকে আয়োজক দেশ হিসেবে ঘোষণা করে কনমেবল। নির্ধারিত ১৩ জুনেই শুরু হবে আসরটি। শেষ হবে ১০ জুলাই। তবে আয়োজক শহর এবং ম্যাচগুলোর বিস্তারিত এখনও জানানো হয়নি। এপর্যন্ত ব্রাজিলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে। প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। আর বিশ্বে তাদের স্থান দ্বিতীয়। পাঁচ বারের কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নদের দেশে তাই কোপা আয়োজন নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন শঙ্কা।