ইউরোতে উড়ন্ত সুচনা করেছে ইতালি। ঘরের মাঠ তুরষ্ককে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। ইউরোতে আসার আগে টানা ২৭ ম্যাচ অপরাজিত ছিলো ইতালি। এই জয়ের ফলে টানা ২৮ ম্যাচে অপরাজিত থাকলো ইউরোপের জায়ান্টরা।
শুক্রবার রাতে ম্যাচের প্রথমার্ধে হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে দুই দলের মধ্যে। সেই লড়াইয়ে কোন দলই প্রতিপক্ষে জালে বল জড়াতে পারেনি। তাই প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ভাবেই। তবে প্রথম ২০ মিনিটে যে কয়টি সুযোগ তৈরি করেছিলো ইতালির ফরোয়ার্ডরা সেগুলোর একটি কাজে লাগাতে পারলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধে মাঠ ছাড়তে পারতো তারা।
বিরতীর পরে মাঠে নেমে অগুছালো ফুটবল খেলতে থাকে তুরষ্ক আর তাতেই সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। প্রথম গোলটি হয়েছে আত্মঘাতি। ম্যাচের ৪৬ মিনিটে ইতালির ডমোনিকোর ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জিয়েছেন তুরষ্কের মেরিহ দেমিরাল। ১-০ গোলের লিড পায় ইতালি।
৬৬ মিনিটে কিরোর স্কোরে ব্যবধান দ্বিগুন হয় ইতালির। ৭৯ মিনিটে লরেঞ্জোর স্কোরে আবারও ব্যবধান বাড়ায় ইতালিয়রা। পরে ম্যাচের শেষ মিনিট পর্যন্ত প্রতিপক্ষকেচাপে রাখে ইতালি। রেফারেরির শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথেই জয়ের আনন্দে মেতেওঠে দলটি। পুরো ম্যাচে মোট ২৪টি শর্ট নিয়েছে ইতালি। তবে লক্ষ্যে ছিলো মাত্র ৮টি শর্ট। যার মধ্যে দুটিতে গোল করতে পেরেছে তারা।
বিরতির পর পরই ইতালির ডমোনিকো বারার্দির ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন তুরস্কের মেরিহ দেমিরাল। ম্যাচের বয়স তখন ছিল ৪৬ মিনিট।
৬৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইতালির কিরো ইমমোবিল। এ সময় তুরস্কের গোলরক্ষকের ফিরিয়ে দেওয়া বল জালে জড়ান তিনি। আর ৭৯ মিনিটে লরেঞ্জো ইনসিগনি গোল করে ৩-০ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন।
পুরো ম্যাচে ২৪ বার গোলপোস্টে শট নেয় ইতালি। তার মধ্যে ৮টি ছিল অন টার্গেটে। সব মিলিয়ে এই প্রথম ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে এক ম্যাচে ৩ গোল করলো ইতালি। গ্রুপ এতে দ্বিতীয় ম্যাচে ১৬ জুন তুরষ্কের মুখোমুখি হবে এয়েলসের। ইতালির প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড।