ইথিওপিয়া থেকে একটি ছোট্ট শিশুকে পালক নিয়ে নিজে দেশে নিয়ে আসেন ইতালিয়ান একটি দম্পতি। যার নাম দেওয়া হয় সিয়াদ ভিসান। ফুটবলের প্রতি ছোট বেলা থেকেই দারুণ নেশা ছিলো। তাই যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন খেলে গেছেন ফুটবল। মাত্র ২০ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয় আত্মহত্যায়।
জানা যায় বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ইতালির ক্যাম্পানিয়াতে নিজের বাসাতেই তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। সেখানে তিনি আত্মহত্যার কারণ জানিয়ে একটি চিঠিও লিখে যান। স্থানীয় পুলিশ বলছে বছরের পর বছর ধরে বর্ণবৈষম্য সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছেন তিনি।
সেই চিঠিতে ভিসান লিকে গেছেন, এখন আমি যেখানেই যাই, যেখানেই যাই, যেখানেই যাই। সেখানেই আমি পাথরের মতো অনুভব করি। মানুষের সন্দেহ প্রবনতা, কুসংরচ্ছন্নতা, অন্যভাবে তাকানো এসব আমার কাঁধে ভর করে। তিনি আরও লেখেন, মানুষের কাছে প্রমাণ করতে হয়, যেন তারা আমাকে চেনে না। আমি তাদের মতো না, ইতালিয়ান, সাদা। আমার মনে হতো কালো হওয়ায় আমার লজ্জিত হওয়া উচিত।’
এসব কারণেই ২০১৬ সালে ফুটবল থেকে অবসরে যান তিনি। অবসরে গেলেও নিলেও তিনি ভিটিকালার হয়ে ফাইভ আ সাইট ফুটবল চালিয়ে যাচ্ছিলেন ভিসান।