ইমরান খানকে গতকাল ১৭ মার্চ (শুক্রবার) ৯টি মামলা থেকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন লাহোর হাইকোর্ট। এর মধ্যে আটটি মামলাই সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে। এ ছাড়া তোষাখানা মামলায় ইমরান খানের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত করা হয়েছে ১৮ মার্চ পর্যন্ত।
ইমরান খানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন। আবেদনে ইমরান খান বলেন, আগামীকাল আমি নিজেই ইসলামাবাদ দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হব। তবে এর জন্য গ্রেপ্তারের নির্দেশ প্রত্যাহার করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে ইমরান এই মামলায় অন্য কোনো নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন। ইমরান জানিয়েছেন, শনিবার তিনি ইসলামাবাদের দায়রা আদালতে উপস্থিত থাকবেন।
এদিন লাহোর হাইকোর্টে সশরীরে হাজির হয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার আগে বিচারপতি পাক পাঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দেন, ইমরানকে যেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে আদালতে নিয়ে আসা হয়। তিনি জানান, বিকেল ৫টায় তার আবেদনের শুনানি হবে। পরে সেই সময় আরো পিছিয়ে সাড়ে ৫টা করা হয়। সেই সময়ই বিপুলসংখ্যক অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে আদালত চত্বরে প্রবেশ করে ইমরানের কনভয়। কিন্তু সেখানে এত মানুষের ভিড়ের কারণে পরিস্থিতি ক্রমশ নাগালের বাইরে যেতে থাকে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাকে ঘিরে রেখে কোনো রকমে আদালতকক্ষে ঢুকিয়ে দেয়।
তোষাখানা মামলার শুনানিতে দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকার কারণে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ইসলামাবাদের সেশন আদালত। পরে পিটিআই এই পরোয়ানায় স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করলে ১৩ মার্চ পর্যন্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত করা হয়। কিন্তু শুনানিতে অনুপস্থিত থাকার কারণে গত সোমবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও সেশন আদালতের বিচারক জাফর ইকবাল।
বিগত কয়েক দিন ধরেই ইমরানের জামান পার্কের বাসভবনের সামনে পুলিশ এবং ইমরান খানের সমর্থকদের মধ্যে লড়াই চলছিল। আদালতের জোড়া সিদ্ধান্তের খবর পেতেই উৎসবে মেতে ওঠেন ইমরানের অনুসারীরা। ঢাকঢোল বাজিয়ে ইমরানের বাড়ির সামনেও আনন্দ প্রকাশ করেন তারা।