২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

উকিল নোটিশের সাতসতেরো

Advertisement

হঠাৎ কোনো উকিল নোটিশ পেলে অনেকে ঘাবড়ে যান। কিন্তু উকিল নোটিশ পেয়ে কী করবেন, কী করবেন না-অনেকেই তা ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারেন না। এটা জেনে রাখা প্রয়োজন যে, উকিল নোটিশ মানেই মামলা নয়। কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে সাধারণত আইনজীবীর মাধ্যমে বাদী যে নোটিশটি পাঠায় তাকে বলে লিগ্যাল নোটিশ বা উকিল নোটিশ।

তবে উকিল নোটিশ ফেলনা কিছুও নয়। এর আইনি গুরুত্ব রয়েছে। আর অনেক অহেতুক মামলা-মোকদ্দমা থেকেও আপনি রেহাই পেতে পারেন। আদালতে যাওয়ার আগে সমস্যার সমাধান করারও সুযোগ থাকে।   

উকিল নোটিশ কী :

Notice শব্দের অর্থ সতর্কীকরণ এবং সংবাদজ্ঞাপন। সাধারণত উকিল নোটিশ (Legal Notice) বলতে বোঝায়, যখন নোটিশদাতা একজন বিজ্ঞ উকিল বা আইনজীবীর সহায়তায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কোন অভিযোগ জানায়। উকিল নোটিশকে Legal Notice, এডভোকেট নোটিশ, আইনী নোটিশ ও আইনী বিজ্ঞপ্তি-ও বলা হয়।

মনে রাখবেন উকিল নোটিশ বা Legal Notice কোন মামলা নয়। উকিল নোটিশ (Legal Notice)-কে মামলা বা কোন আইনী প্রক্রিয়ার পূর্ব পদক্ষেপ বলা যেতে পারে।

উকিল নোটিশ দেবার জন্য কী লাগেঃ

উকিল নোটিশ দিতে হলে নিম্নোক্ত তথ্যের প্রয়োজন হয় :

  •    আপনার পূর্ণ নাম, বাবার নাম ও ঠিকানা
  •  যার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাবেন তার পূর্ণ নাম, বাবার নাম, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা    ও মোবাইল নম্বর
  •  ঘটনার পূর্ণ বিবরণ
  • ঘটনার সমর্থনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

এই তথ্যগুলো নিয়ে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করুন। তার সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।   

উকিল নোটিশ (Legal Notice) যে কোন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া যায়। এখানে কোন সীমাবদ্ধতা রাখা হয় নি। এর একটি উদাহরণ দিচ্ছি। বিগত ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে গ্রামীণফোনের অধিকাংশ শেয়ারের মালিক টেলিনর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বরাবর লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করে।

নোটিশ পেলে করণীয়

প্রথমেই আইনি নোটিশ পেলে দেখতে হবে এর বিষয়বস্তু কতটা যুক্তিসংগত এবং এর কোনো ভিত্তি আছে কি-না। যদি কোনো ধরনের ভিত্তি না থাকে কিংবা হয়রানি করার জন্য নোটিশ পাঠান, তাহলে আইনজীবীর মাধ্যমেই সমাধান বের করা উচিত।

আইনি নোটিশ পেলে এর সমাধানের উপায় ভাবতে হবে আগে। উকিল নোটিশ পেয়েই যদি বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান করা যায়, তাহলে ভবিষ্যতে অনেক আইনি ঝামেলা ও ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যদি নোটিশে উল্লিখিত অভিযোগের সত্যতা থাকে, তাহলে এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে নিতে পারেন। একটা ভুল ধারণার প্রচলন আছে, অনেকেই উকিল নোটিশ পেলে ডাকপিয়নের কাছ থেকে গ্রহণ করতে চান না। এতে উল্টো ফলই হয় বেশি। কারণ নোটিশ আপনি গ্রহণ করেন আর না-ই করেন, আইনের ব্যাখ্যায় নোটিশটি ঠিকঠাক প্রেরণ করা হয়েছিল তা অনেক সময় প্রমাণ হয়ে যায়। নোটিশ গ্রহণ না করলে প্রকৃত দাবি বা অভিযোগ সম্পর্কে জানাও যায় না এবং মামলায় যাওয়ার আগে নিষ্পত্তির সুযোগও কমে আসে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement