প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞপ্তি ২০১৯ সালের ১৯ অক্টোবর প্রকাশ করে সরকার। তবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার কারণে এ নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া যাচ্ছে না।
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে সরকার এখনও পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত নয়। তবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)আগামী বছরের শুরুতে এ নিয়োগ পরীক্ষা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা আসায় স্থগিত থাকা নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি শুরু করেছে ডিপিই।
ডিপিই সূত্রে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে। পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই। এমনকি ইতোমধ্যে পরীক্ষার ওএমআর শিট ছাপানোর কাজ শুরু হয়েছে। তাছাড়া তোড়জোড় চলছে প্রশ্নপত্র তৈরির কাজেও।
সূত্র আরও জানায়, পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও এ বছর পরীক্ষা আয়োজনের সম্ভাবনা নেই। কারণ অনেকগুলো বড় বড় পাবলিক পরীক্ষা আগামী নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে। যার ফলে এ সময় পরীক্ষা আয়োজনের জন্য কেন্দ্র পাওয়া যাবে না। করোনা পরিস্থিতির অবনতি না হলে আগামী বছরের শুরুতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হতে পারে। এ নিয়ে ডিপিইর অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ জানান, স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা পাওয়ার সাথে সাথে আমরা সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছি।
সোহেল আহমেদ বলেন, এ বছর পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসির মতো বড় বড় পাবলিক পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। যার ফলে এ বছর পরীক্ষা আয়োজনের সম্ভাবনা নেই। যদি করোনা পরিস্থিতির অবনতি আর না হয় তাহলে আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ৩২ হাজার পদের বিপরীতে এবার ১৩ লাখের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছেন।