২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

কঠোর লকডাউনে অলস ঢাকা

Advertisement

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হয়েছে। আইনশৃংখলাবাহিনীর কড়াকড়িতে ঢাকার রাস্তাঘাট ফাঁকা দেখা গেছে। সড়কে পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুর, মতিঝিল, উত্তরা, শাহবাগ, গুলিস্তান, ফার্মগেট, বাড্ডার সড়কে খোঁজ নিয়ে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

সড়কে জনসাধারণের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। কোথাও কোথাও ব্যক্তিগত গাড়ি দেখা গেলেও সেই সংখ্যা একেবারেই কম। যাত্রী না থাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা, রিকশা চালকদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। এ সময় অনেকের সুরে হতাশা প্রকাশ পেয়েছে।

উত্তরার আজমপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের রাস্তায় বের হওয়া কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে। রিকশার আরোহীদের বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে।

কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অলিগলিতে কিছু চায়ের ও মুদি দোকান খোলা। মুদি দোকানগুলো সার্টার অর্ধেক খোলা রেখে চলতে দেখা গেছে। কাঁচাবাজারগুলোতে ক্রেতা খুব একটা দেখা যায়নি।

শিল্পকারখানা, ব্যাংক, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রতিষ্ঠানের যানবাহনে অথবা পরিচয়পত্র নিয়ে বের হতে দেখা গেছে। মোহাম্মদপুর ও ফার্মগেট এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে। তবে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ির তুলনায় অটোরিকশা কম চলেছে।

শপিংমলগুলো বন্ধ রয়েছে। ওষুধের দোকান ছাড়া দোকানপাটগুলো বন্ধ থাকতে দেখা গেছে ঢাকার সর্বত্র।

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর অধিকাংশ এলাকা জনমানবশূন্য। মোড়ে মোড়ে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। কোথাও কোথাও কয়েকজনকে দেখা গেলেও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে ঘরে যেতে বলছেন। এমন কি রিকশা চলাচল করতেও বাধা দিচ্ছেন তারা।

আসাদগেট এলাকায় কয়েকটি ব্যক্তিগত গাড়ি দেখা গেছে। গাড়িগুলো দাঁড় করিয়ে কারণ জানতে চেয়ে ছেড়ে দিচ্ছে পুলিশ। 

প্রচুর পরিমাণ রিকশাও বেরিয়েছে রাস্তায়। তবে পুলিশ তাদের চলাচল আটকে দিচ্ছে।

মিরপুর এলাকায় কয়েকটি ব্যক্তিগত গাড়ি দেখা গেছে। গাড়িগুলো দাঁড় করিয়ে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চেয়েছে পুলিশ।

উত্তরা আবদুল্লাহপুর এলাকার রিকশাচালক নাহিদ বলেন, এতদিন তো রিকশা চালাতে পেরেছি। আজ তো বাস্তায় কোনো মানুষ নেই। কী করে সংসার চালাব।

জসীমউদ্দিন এলাকার সিএনজি অটোরিকশা চালক আব্বাস বলেন, রাস্তাঘাট ফাঁকা। কোনা যাত্রী নেই। সামনের দিনগুলো কেমন চলবে? 

প্রসঙ্গত, জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচল এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার বিষয়ে কঠোর বিধি-নিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এবার লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসারসহ সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement