করোনাভাইরাসের প্রকোট কমাতে আজ শুক্রবার থেকে কঠোর লক-ডাউন কার্যকর করেছে সরকার। এই লক-ডাইন চলবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত। কিন্তু মানুষের আর্থিক চাহিদার কথা মাথায় রেখে ব্যাংক গুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ঈদের ছুটি শেষে রোববার থেকে সীমিত আকারে খোলা থাকবে দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে শুরু করে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। এমন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই প্রজ্ঞাপনে গণমাধ্যমে জানানো হয়, শুধুমাত্র সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনি এই দুইদিন ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এই দুই দিন বাদে সপ্তাহের বাকিদিন গুলোতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা মোট সাড়ে তিন ঘণ্টা ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে। এই সময়ে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক লোকবল দ্বারা ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয় সহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা খোলা রাখা যাবে।
কঠোর লকডাউন চলাকালে নগদ হিসের, অর্থ জমা ও উত্তলনের ক্ষেত্রে চেক ইস্যু করতে পারবে গ্রাহকরা। ডিমান্ড ড্রাফট, পে-অর্ডার ইস্যু এবং জমা গ্রহণের সেবার পাশাপাশি, বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, সরকারি ভাতা/ অনুদান বিতরণের সেবাও দিবে ব্যাংক। এছাড়া একই ব্যাংকের বিভিন্ন হিসেবে অর্থ স্থানান্তর করা যাবে ট্রেজারি চালান গ্রহণ, অনলাইন সুবিধা–সংবলিত ব্যাংকের সব গ্রাহকের এবং এসব সুবিধা–বহির্ভূত ব্যাংকের খোলা রাখা শাখার গ্রাহকেরা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমস/ ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা ও জরুরি বৈদেশিক লেনদেন–সংক্রান্ত সেবা পাবেন গ্রাহকেরা। কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিংও চলবে এসময়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক গুলোর এটিএম বুথ গুলোতে যথেষ্ট পরিমাণ নোট সরবরাহ করে সার্বক্ষণিক সেবা চালু রাখতে হবে। কঠোর লক-ডাউন চলাকালে ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে।