শ্লীলতাহানির মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস। সোমবার দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ পূর্বক হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে পাঁচহাজার টাকা মুচলেকায় তার আবেদন মঞ্জুর করেন মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালত।
এর আগে, শনিবার সবুজবাগ থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক নারী চিত্তরঞ্জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এর আগে , শুক্রবার ভুক্তভোগী ওই নারী তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ছবি শেয়ার করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আমি আতঙ্কিত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি একজন গণমাধ্যম কর্মী হয়েও ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাস দ্বারা শ্লীলতাহানির শিকার হলাম। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় সাংসদ সদস্য জনাব সাবের হোসেন চৌধুরীর কাছে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি। পাশাপাশি আইনগত সহযোগিতা কামনা করছি।’
ভিডিওতে দেখা যায়, চিত্তরঞ্জন দাস একটি কক্ষে ২০-২১ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করছেন। ওই কক্ষের কেউ তা গোপনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন; যা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।
মামলার অভিযোগে জানা যায় যে সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তা সংলগ্ন ওই নারীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। তার পাশের চা দোকানি নিজের দোকান সংস্কার করতে চাইলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস সেই দোকানদারের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। চাঁদার বিষয়ে সত্যতা যাচাই করার জন্য ওই নারী চিত্তরঞ্জন দাসকে ফোন করেন। তখন চিত্তরঞ্জন তাকে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তার রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ কাউন্সিলরের কার্যালয়ে যান। সেখানে চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস ওই নারীকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। পরে চিত্তরঞ্জন ওই কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন এবং ওই নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন।
শ্লীলতাহানির মামলায় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের জামিন

Advertisement
Advertisement