স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটার দিকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সহযোগিতা চেয়ে স্ট্যাটাস দেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীরণি। মূহুর্তেই ভাইরাল হয় তার স্ট্যাটাসটি। তবে কে বা কারা তাকে ধর্ষণ বা হত্যা করতে চেয়েছিলো তা বলেননি সেই স্ট্যাটাসে। এর পরেই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয় দেশের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করেন ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টাকারীর নাম। তিনি বলেন, আপনারা তো আমার সামনে ক্যামেরা ধরলেন কিন্তু যে আমাকে ট্রমার মধ্যে রেখেছে সেই নাসির উদ্দিন আহমেদের সামনে ক্যামেরা ধরে তার মুখোশ খুলে দেন। তবে এই ব্যাক্তি কে বা তিনি কি করেন এসব কোন তথ্যই দেননি পরি।
পরি বলেন, ১০ জুন থেকে আমি একটা ট্রমার মধ্যে রয়েছি। যার কাছেই বিচার চাইতে গিয়েছি তারাই আমার কথা শোনেননি। আমাকে নাসির উদ্দিন বলেছেন তিনি নাকি বেনজির আহমেদের খুব কাছের লোক। তার সাথে নাকি পুলিশের মহাপরিদর্শকের খুব ভালো সম্পর্ক। তারপরও আমি বিচারের জন্য থানা পুলিশ থেকে শুরু করে সবার কাছেই গিয়েছি কিন্তু কেউ আমার কথা শোনেনি। শেষ পর্যন্ত আমি বাধ্য হয়েই স্ট্যাটাস দিয়েছি। গণমাধ্যমের সামনে পরি অভিযোগ করেন নাসির উদ্দিন আহমেদ নামের সেই মানুষটি বারেবারেই পরীর গায়ে হাত তুলছিলো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, আপনারা এখান থেকে যেয়ে সংবাদ করবেন কিন্তু আমার জানের নিরাপত্তা কে দেবে? এই কথা বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। তিনি বলেন, আমি গেল তিন দিন হলো মানুষের কাছে যেয়ে বিচার পাচ্ছি না। আপনাদের সামনে কিছু বলতে পারছি না তাহলে বলুন একজন সাধারণ মেয়ে কিভাবে তার সাথে ঘটে-যাওয়া ঘটনার প্রতিবাদ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে পরীমণির পাশে ছিলেন পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পরী আমাকে মা ডাকে সেই জায়গা থেকে আমি আমার সন্তানের কষ্ট বুঝি। আমি এই বিচার চাই। আমি চাই পরিমনী আবার ঘুরে দাঁড়াক।