খুলনায় শনিবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি হাসপাতালে ১১ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে খুলনার সাত জন, যশোরের দুই জন এবং সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের এক জন করে রয়েছেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২১৩ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে রেড জোনে ১১৩ জন, ইয়েলো জোনে ৬০ জন, হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ২০ জন ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ২০ জন আছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৫ জন। ছাড়পত্র নিয়েছেন ২৬ জন। আর ছয় জন করোনায় মারা গেছেন ৷
তাদের মধ্যে শুক্রবার (২ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে সোনাডাঙ্গার নাজমা বেগমের (৪৪) মৃত্যু হয়। গত ২৬ জুন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। গতকাল বিকাল সোয়া ৫টার দিকে মারা গেছেন যশোর সদরের মো. শরিফুল ইসলাম (৪২)। তিনি ২৭ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন।
একই সময়ে মারা যান সাতক্ষীরার সুবর্ণা রানি মন্ডল (৫৬)। তিনি গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আর শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় খুলনার ডুমুরিয়ার মোশাররফ সরকারের (৬৩) মৃত্যু হয়। গত ২৫ জুন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এছাড়া রূপসার আনোয়ারা খাতুন (৩২) ও ফুলতলার নুর ইসলাম (৬৬) মারা গেছেন।
গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, আজ সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এই হাসপাতালে ১২০ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন। ছাড়পত্র নিয়েছেন ১২ জন। আইসিইউতে ভর্তি আছেন ৯ জন এবং এইচডিইউতে ১০ জন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১টি নমুনা পরীক্ষায় ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এই সময়ে মারা গেছেন চার জন। তারা হলেন- খুলনার ফুলতলার বিবেক কুণ্ডু (৪৯), সোনাডাঙ্গার মানসরা বেগম (৫৩), রূপসার রহিম নগরের আব্দুল মান্নান সরদার (৬০) ও বাগেরহাটের চিতলমারীর আওয়াজ শিকদার (৭০)।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ বলেন, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত এখানে ৭০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৩ জন ও নারী ৩৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১২ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ চার জন ও নারী আট জন। ছাড়পত্র নিয়েছেন সাত জন। মারা গেছেন এক জন। তার নাম আলেয়া বেগম (৬৫)। বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়ায়।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৩২টির রিপোর্ট পজিটিভ আসে। খুলনার ৩৮টি নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছে ১০টি। এছাড়া বাগেরহাটের ১৯টি, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও পিরোজপুরের একটি করে পজিটিভ এসেছে।