সব জায়গায় গরুর গোয়ালে কম-বেশি মাছির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। মাছির যন্ত্রণায় খামারের গবাদি পশু গুলো অতিষ্ট থাকে। মাছি খামারে রোগ জীবাণুও ছড়ায়। এজন্য গবাদি পশুর খামারকে মাছিমুক্ত খুবই জরুরি।
তাছাড়া গরু, ছাগলের শরীরে বিভিন্ন ক্ষতিকর ভাইরাস ছড়িয়ে পশুগুলোকে সহজেই রোগাক্রান্ত করে দিতে পারে।
জেনে নিই খামার মাছিমুক্ত রাখার সহজ উপায়-
পোষা প্রাণির মল-মূত্র নিয়মতি ও তাড়াতাড়ি পরিষ্কার করতে হবে। পরিষ্কার করতে দেরি হলেই মাছি এসে উপস্থিত হয় এবং বংশবিস্তার করে। কারণ, মাছিদের ডিম পাড়ার উপযুক্ত জায়গা পোষা প্রাণির মল। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়।
মাছি তাড়ানোর জন্য খামারের আশেপাশে পরিচিত কিছু গাছ লাগালেই হবে। যেমন লেমনগ্রাস, পুদিনা ও তুলসি। এই গুল্মগুলো উদ্ভিদ গুলো টবে লাগাতে পারেন। সামনের ও পেছনের দরজার আশপাশে টবগুলো সাজিয়ে রাখতে হবে। এমনকি জানালার পাশেও রাখতে পারেন।
লেবু টুকরো টুকরো করে অনেকগুলো লবঙ্গ ভেতরের অংশে গেঁথে দিন। লবঙ্গের পুরোটা লেবুর মধ্যে প্রবেশ করে শুধুমাত্র লবঙ্গের মাথার দিকের অংশ বাইরে থাকবে। পরে লেবুর টুকরাগুলো একটি প্লেটে করে খামারেরি এক কোণায় রেখে দিন। এই পদ্ধতিতে পোকামাকড়, মশা-মাছি একেবারেই দূর হয়ে যাবে।
কর্পুরের গন্ধ মশা-মাছি একেবারেই সহ্য করতে পারে না। ৫০ গ্রামের একটি কর্পুরের ট্যাবলেট একটি ছোট বাটিতে রেখে বাটিটি পানি দিয়ে পূর্ণ করে খামারের কোনায় রেখে দিন।
মশা- মাছি তাৎক্ষণিকভাবেই গায়েব হয়ে যাবে। পানি পরিবর্তন করে নিন দুই দিন পর।
রসুন বেটে পানিতে মিশিয়ে তরল করে পুরো খামারে স্প্রে করা মশা তাড়াতে খুবই কার্যকরী একটি উপায়।