বীমা দাবির টাকা পরিশোধ করছে না সানলাইফ ইন্সুরেন্স। শতশত গ্রাহক এই বিমার টাকার দাবিতে মামলা করেছে কোম্পানির চেয়ারম্যান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোন এবং এমডির বিরুদ্ধে। ওয়ারেন্টও জারি হয়েছে ৯টি মামলায়। কিন্তু তা তামিল হচ্ছে না দীর্ঘদিন। কেন এই ধীরগতি সেটা নিশ্চই বোঝার বাকিনেই কারও! ১০ বছর মেয়াদে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের জীবন বিমা পলিসি করেন মনিরুজ্জামান ডাবলু । তবে মেয়াদপূর্তির পর একটি টাকাও পাননি ডাবলু। বিশেষ করে কুষ্টিয়ায় প্রায় ৫ শ’ বীমা দাবির একটি টাকারও পাননি গ্রাহকরা। বাড়িঘর ছাড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে সানলাইফের স্থানীয় কর্মকর্তারা। এই ইন্সুরেন্স কোম্পানির মালিক,স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, তার স্ত্রী এবং ছেলে। মালিকানা পেয়েছেন তার মা, বোন, ভগ্নীপতি ও ভাগ্নে’র। গ্রাহক প্রতারণায় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোন অধ্যাপক রুবিনা হামিদসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন কুষ্টিয়ার আদালত।
ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের অফিস ঢাকার বনানীতে। কুষ্টিয়া থেকে বনানী থানায় এলেও ৬ ওয়ারেন্টের কোনোটাই তামিল হয়নি রহস্যজনক কারণে। এ বিষয়ে ক্যামেরায় কথা বলতে রাজি হয়নি বনানী থানা পুলিশ। এছাড়াও সারা দেশে সানলাইফের কাছে ৩০ কোটি টাকার বেশি পাওনা গ্রাহকদের। কুষ্টিয়া ছাড়াও নড়াইল, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ আরও কয়েকটি জেলায় গ্রাহকরা মামলা করেছেন ইন্স্যুরেন্সটির বিরুদ্ধে। সেসব মামলার কয়েকটিতেও ওয়ারেন্ট জারি হয়।