২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

চক্রাকার বাস সেবা বন্ধ

Advertisement

নিরাপদ এবং আরামদায়ক যাতায়াত নিশ্চিত করতে রাজধানীর ধানমন্ডি ও উত্তরায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) চক্রাকার বাসসেবা চালু করেছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। কথা ছিল, ঢাকার অন্যান্য জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় একই ধরনের সেবা চালু করা হবে। তবে চালু হওয়ার দুই বছর না যেতেই এ সেবা বন্ধ হয়ে গেছে।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে গত দেড় বছর রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল কখনো সীমিত, কখনো বন্ধ ছিল। এখন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। মহামারি শুরুর আগে চালু থাকা চক্রাকার বাসসেবা আর চালু হয়নি। বিআরটিসির সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চক্রাকার সেবা দিতে গিয়ে বিআরটিসি অনেক লোকসান করেছে। এখন তাই নতুন করে ওই সেবা চালু করার পরিকল্পনা নেই।
বিআরটিসি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকনকে আহ্বায়ক করে ১০ সদস্যের বাস রুট র্যাশনালাইজেশন কমিটি গঠন করা হয়। কথা ছিল, এই কমিটি উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক গণপরিবহন নিয়ে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছিলেন, সেগুলো বাস্তবায়ন করবে। পরে ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ ধানমন্ডি-নিউ মার্কেট-আজিমপুর এলাকায় (প্রায় ১০ কিলোমিটার) চক্রাকার বাস সেবা চালু করা হয়। এর দুই মাস পর ২৭ মে উত্তরার দুটি রুটে চক্রাকার বাসসেবা চালু হয়। এর মধ্যে আলাওল অ্যাভিনিউয়ের পূর্ব প্রান্ত থেকে হাউস বিল্ডিং, খালপাড় হয়ে উত্তরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে একটি সেবা। আরেকটি বিমানবন্দর বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিমে থাকা বিভিন্ন সেক্টরের ভেতর দিয়ে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের স্লুইস গেট পর্যন্ত। তখন বলা হয়েছিল, পাঁচ থেকে ১০ মিনিট পরপরই এই রাস্তার দুই পাশে বাস পাওয়া যাবে।
মতিঝিল বাস ডিপোর ব্যবস্থাপক মাসুদ তালুকদার বলেন, ধানমন্ডি এবং উত্তরায় চক্রাকার বাস সেবা চালুর পর থেকেই বিআরটিসি লোকসান দিয়েছে। এর অন্যতম কারণ ছিল যাত্রী সংকট। তাই এখন নতুন করে এই সেবা চালু করার কোনো উদ্যোগ নেই।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement