২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

জাতীয় পরিচয়পত্র স্থানান্তর নিয়ে এখনই কিছু বলবো নাঃ ইসি রাশেদা

Advertisement

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্থানান্তর নিয়ে আমরা বসে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করবো। তবে এখনই কিছু বলবো না। নির্বাচন কমিশনে এনআইডি থাকা না থাকা নিয়ে কোনো সংকট নেই।

৮ জানুয়ারি (রবিবার) নির্বাচন ভবনে ইসি আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন। ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোটগ্রহণ ব্যবস্থায় এনআইডি ও ভোটার নম্বর ব্যবহার বিষয়ক মতবিনিময়র সভায় শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, অধ্যাপক হায়দার আলী, ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি রাশেদা বলেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে থাকা না থাকা নিয়ে কোনো সংকট নেই। তবে এটা নিয়ে যেন টানাহেঁচড়া না হয়, যেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি, সেজন্য আমরা প্রযুক্তিবিদদের মতামত নিয়েছি। পরে কমিশন বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে কেউ কেউ ইসির অধীনেই এনআইডি থাকার পক্ষে। কেউ কেউ থাকার পক্ষে নয়। আমরা এখনও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো জানার জন্য বসেছিলাম। এখন আমরা নিজেরা বসবো। বসে তারপর সিদ্ধান্ত নেবো। জিনিসটা যাতে সঠিক হয়, আমরা যেন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি এজন্যই প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে বসেছিলাম।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এনআইডি নিয়ে টানাহেঁচড়া যাতে না হয় বা গ্রহণযোগ্যতা পায় এজন্যই ওনাদের সঙ্গে বসা। আমরা আলোচনা করি, বসি, তারপর কতটা খারাপ-ভালো হবে বলতে পারবো।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তারা আমাদের কাছে একটা স্মারলিপি দিয়েছিলেন এবং যুক্তি তুলে ধরছিলেন যে ইভিএমে ভোট হলে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এনআইডি চলে গেলে ভোট নিতে সমস্যা হতে পারে। যেহেতু বিষয়টা টেকনিক্যাল, তাই আইটি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য ও মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা সেগুলো শুনেছি। আমরা কোনো মতামত দেইনি। 

তিনি বলেন, ওনারা চারজন (বিশেষজ্ঞরা) স্পষ্টভাবে যেটা বলেছেন, টেকনিক্যালি কোনো সমস্যা হবে না। কারণ হলো সার্ভার তো আমাদের কাছেই থাকছে। এটা কোনো সমস্যা না। 

তারপরও ওনাদের মিশ্র বক্তব্য আসছে উল্লেখ করে ইসি মো. আলমগীর বলেন, বিশেষজ্ঞদের একজন বলেছেন এটা তো নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। আপনারা কেন বাড়তি দায়িত্ব নিতে যাবেন। ইসির কাজ হলো ভোটার তালিকা করা, সুষ্ঠু নির্বাচন করা। এটা তো দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। কাজেই না থাকাই ভালো।

‘কেউ বলেছেন যেহেতু এটা সরকারেরই কাজ, তাই সরকার চাইলে নিতে পারে। তবে যেহেতু ইসি এটা করে আসছে দক্ষতার সঙ্গে, এক্ষেত্রে কমিশনের কাছেই যদি দক্ষতার সঙ্গে রাখা যায়। এখন অন্য কেউ কাজ করবে, সময় লাগবে, এতে মানুষ যে সার্ভিস পাচ্ছে এটা বিঘ্নিত হতে পারে। তাই সরকারকে যদি কনভিন্স করা যায় যে আপনারা চাইলে নিতে পারেন, তবে এটা এখানে থাকলে ভালো হয়।’

‘ওনারা আরো বলেছেন, ইভিএমে যেখানে ভোট হবে সেখানে শুধুমাত্র এনআইডি ইনসার্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে নামটা চেঞ্জ করে ভোটার কার্ড করে দেবেন। যেহেতু মানুষ অনেক সার্ভিস নেওয়ার জন্য এনআইডি নেয়, এতে ভোটার হাওয়ার আগ্রহ কমে যেতে পারে। তবে ভোট সুষ্ঠু হলে ভোটার হওয়ার আগ্রহ কমে যাবে না। 

সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, আমরা ওনাদের কথা শুনেছি। এখন বসে (কমিশন বৈঠক) সিদ্ধান্ত নেবো। 

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা যেটাই করি না কেন, যুক্তিযুক্ত হবো। কোনো পক্ষপাতিত্ব হবে না। যেটা বেটার, যেটা লজিক্যাল সেটাই করবো। সরকারের চাওয়া লজিক্যাল হলে তাদের কাছে চলে যাবে। আর না হলে আমাদের যুক্তি আমরা তুলে ধরবো।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement