২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

জেনে নিন টবে থানকুনি চাষ করার পদ্ধতি

Advertisement

ভেষজ উদ্ভিদের মধ্যে থানকুনি একটি। গ্রামাঞ্চলে বাড়ির আশেপাশে দেশি থানকুনি পুকুর পাড় বা মাঠের স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় পাওয়া যায়। তবে ইচ্ছা করলে সহজেই টবে থানকুনি চাষ করা যায়।

বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় থানকুনি পাতা। বেশি ব্যবহৃত হয় থানকুনি পাতার রস। কেউ কেউ আবার এটি ভর্তা করে খেতে পছন্দ করেন। রান্না করে শাক হিসেবেও খান অনেকে। থানকুনির রসে আছে বিভিন্ন খনিজ উপাদান ও ভিটামিন এবং ভেষজ গুণ।

থানকুনি পাতার রস সাধারণত জ্বর, পেটের অসুখ, আমাশয় সারাতে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়াও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে, হজমশক্তি বাড়াতেও এর ব্যবহার আছে। এমনকি মুখের ঘা, খুশখুশে কাশি, হাঁপানিতেও এর উপকার আছে।

যেভাবে টবে চাষ করবেন থানকুনি

মাটি নির্বাচন

বিশেষ কোনও মাটির প্রয়োজন হয় না থানকুনি চাষের জন্য। তবে দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ কিংবা কোকোপিট মেশানো মাটি থানকুনির জন্য ভালো।

টবের আকার-আকৃতি

ছোট, মাঝারি বা বড় যে কোনও আকারের টবেই থানকুনি চাষ করা যায়।  থানকুনি গাছ পানিবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। যেন পানি জমে না থাকে সেজন্য টবের নিচে ২-৩ টি ছিদ্র করে দিতে হবে।

চাষের সময়

থানকুনি সারা বছরই পাওয়া যায়, এজন্যই বছরের যে কোনও সময়ই এর বীজ বা শেকড় টবে লাগানো যাবে।

থানকুনির চারা বা বীজ বপন পদ্ধতি

বীজ থেকেও তৈরি হয় থানকুনি গাছ। আবার শিকড়সহ লতা লাগালেও গাছ বড় হয়। পরিমাণমতো মাটি টবে দিয়ে তাতে চারা বা বীজ বপন করতে হবে। তবে খুব বেশি পানি দেওয়া যাবে না। তবে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে পানি যেন জমে না থাকে।  

পরিচর্যা

গাছে যেন নিয়মিত সূর্যের আলো পড়ে সেদিকে  লক্ষ্য রাখতে হবে। গাছে জৈবসার প্রয়োগ করতে হবে। আবার টবের বেলায় এক মুঠো জৈব সার (ভারমি কম্পোস্ট) ছড়িয়ে দিয়ে মাটি খুঁড়ে মিশিয়ে দিলেই হবে।

সময়মতো গাছের পাতা সংরক্ষণ করতে হবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে টবে যেন আগাছা না জন্মে। যখন গাছে পাতা ধরে গাছ ঘন হয়ে যাবে তখন গাছের পাতা ছেঁটে দিতে হবে।

থানকুনি গাছের বীজ সংগ্রহের জন্য গ্রীষ্মকাল উত্তম সময়। তবে একটু বড় টবে চাষ করলে যে পরিমাণ পাতা আসবে তা দিয়ে পরিবারের সবার চাহিদা মেটানো সম্ভব।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement