করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এর জন্য প্রতিমাসে অন্তত ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগণকে টিকা দেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।
প্রথম মাসে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের করোনা টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। তাঁদের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ২৪ লাখ। এভাবে প্রথম ছয় মাসে অগ্রাধিকার পাওয়া দেড় কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতিমধ্যে কোভিড-১৯ টিকা বিতরণ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। প্রথমে ৩ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। এরপর টিকা পাওয়া মানুষের হার পর্যায়ক্রমে ৭, ১০, ২০, ৪০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।
তিনি বলেন, টিকা ক্রয়ে বিশ্বব্যাংক থেকে পাওয়া ৫০০ মিলিয়ন (৫০ কোটি) ডলার ব্যয় হচ্ছে। এ ছাড়া এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ৯৪০ মিলিয়ন (৯৪ কোটি) ডলার ঋণচুক্তি পর্যায়ে রয়েছে। আ হ ম মোস্তফা কামাল আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন- সরকার দেশের সব নাগরিককে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন প্রদান নিশ্চিত করবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডোজ ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য যত টাকাই লাগুক না কেন, সরকার তা প্রদান করবে। সে লক্ষ্যে এ বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ভারতে সেরাম ইন্সটিটিউট প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে টিকা দেবে, চুক্তিতে এমন শর্ত আছে। এভাবে তারা ৬ মাসে মোট ৩ কোটি টিকা দেবে। সেরাম থেকে ঠিক কবে নাগাদ টিকা আসবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে করোনা টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে টিকা পাবে বাংলাদেশ। কোভ্যাক্স বলেছে, এ বছরে প্রথম তিন মাসের মধ্যে তারা টিকা দেবে। তবে কত টিকা দেবে তা নিশ্চিত নয়।