গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হাইসিকিউরিটি ইউনিটে ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এক বন্দির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। রোববার রাত ১০টায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হাইসিকিউরিটি ইউনিটের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া সাইফুল ইসলাম (রফিক) ওরফে সাইদুল ইসলাম রফিক (৫০)। তিনি বগুড়া জেলার সদর থানার মালতিনগর নামাপাড়া এলাকার মোজাম ফকিরের ছেলে।
জেল সুপার বলেন, রোববার রাত ১০টায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার হাইসিকিউরিটি পার্ট-৪-এ মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত কয়েদি আসামি সাইফুল ইসলাম (রফিক) ওরফে সাইদুল ইসলাম রফিকের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। ফাঁসি কার্যকর করেছেন জল্লাদ শাহজাহান ভুঁইয়া। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির, মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার রেজুয়ান আহামেদ, সহকারী সার্জন ডা. আহসানউল্লাহ ফাহাদ, ডা. কামরুন্নাহার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী।
রফিকের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে বগুড়ায় ডাকাতি ও ধর্ষণ করার অপরাধে বগুড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়। এ মামলায় বিচারিক আদালত তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। পরে তিনি ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে প্রথমে আপিল ও পরে রিভিউ আবেদন করেন।
আদালতে সেগুলো খারিজ হলে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর প্রাণভিক্ষার আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। পরে কারাবিধি অনুযায়ী রোববার তার দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। পরে মৃতদেহ তার ভাই রোকন ও মেহেদী হাসানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।