আবেদন ও পরীক্ষায় পাস করেও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাচ্ছেন না ১৫ লাখ মানুষ। তাই চরম ভোগান্তিতে দেশে ও বিদেশে ড্রাইভিং চাকরি প্রত্যাশীরা। মধ্যপ্রাচ্যে নিশ্চিত চাকরি হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে লাইসেন্সের স্মার্টকার্ড না পাওয়ায়। মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের কারণেই এ ভয়াবহ ভোগান্তি। চুক্তি হলেও এক বছরেও বিআরটিএকে স্মার্টকার্ড লাইসেন্স সরবরাহ করতে পারছেন না তারা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বিআরটিএ ও ১৫ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশী।
মো.নুর আলম যাবেন সৌদি আরব। তাঁর দরকার পেশাদার মোটরযান চালকের লাইসেন্স। লাইসেন্সের জন্য তিনি মিরপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-তে পরীক্ষা দেন ২০১৯ সালের এপ্রিলে। এরপর স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স পেতে সরকারি ফি জমা দেন। এক মাসের মধ্যে আঙুলের ছাপ ও ছবি তোলার কাজ শেষ হয়। বিআরটিএ তাঁকে একটি রসিদ দেয়। তাতে লাল সিলে লাইসেন্স সরবরাহের তারিখ লেখা ১৪ নভেম্বর ২০১৯। নির্ধারিত দিনে বিআরটিএতে গেলে রসিদে আরেকটি সিল পড়ে। এবার লাইসেন্স দেওয়ার তারিখ ২০২০ সালের ২৩ এপ্রিল। ওই তারিখে গেলে আরেকটি সিল পড়ে। তাতে লেখা ৫ জানুয়ারি ২০২১। এবার গিয়েও লাইসেন্স পাননি আলম। তাঁর রসিদে পুণরায় লাল সিল পড়ে। নতুন তারিখ আগামী ১৩ ডিসেম্বর। পৌনে তিন বছর পরও লাইসেন্স পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন মো.নুর আলম।
কেন এই সমস্যা? তথ্যানুসন্ধানে জানা গেল, ঠিকাদার নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতা এবং দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণে মো.নুর আলমের মতো ১৫ লাখ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছেন বিআরটিএর কাছে। তাঁদের বেশির ভাগ দেড় থেকে আড়াই বছর ধরে বিআরটিএতে ঘুরছেন।
জনশক্তি রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান জানান, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে গাড়িচালকের চাহিদা অনেক। থাকা-খাওয়ার সুবিধা এবং বেতনও ভালো। কিন্তু এই ভিসার খরচ অন্য ভিসার প্রায় অর্ধেক। অন্য পেশার ভিসায় প্রতিবছর ইকামা নবায়নে ৭ হাজার সৌদি রিয়াল খরচ হয়। আর চালকের ভিসায় লাগে মাত্র ৬০০ রিয়েল।
বিআরটিএ কর্মকর্তারা বলছেন, মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের ব্যর্থতার কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে না পারায় বিআরটিএর সব অর্জন ম্লান হয়ে গেছে। বছরখানেক আগে আবেদন ও পরীক্ষায় পাস করেও এখনো ড্রাইভিং লাইসেন্স না পাওয়া ব্যক্তিদের ভোগান্তি চরমে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষা করছেন। এর মধ্যে প্রায় ১০ লাখ চালক গাড়ি চালাচ্ছেন বিআরটিএর ‘অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ’ দিয়ে। কিন্তু স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড না পাওয়ায় সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে আবেদন করতে পারছেন না তাঁরা। শুধু তা-ই নয়, এর কারণে দুই বছর ধরে বাংলাদেশ দক্ষ চালক রপ্তানিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে অন্যান্য দেশ সে স্থান দখল করে নিচ্ছে।
সংকটের পেছনে যারা:
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআরটিএ সূত্র বলছে, চালকের লাইসেন্স দেওয়ার এই সংকটের পেছনে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ পাওয়ার প্রতিযোগিতা এবং এর ফলে দরপত্র বাতিল করার ঘটনা দায়ী। এই দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের টানাটানিতে জড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন দপ্তরও। এর ফলে ঠিকাদার নিয়োগে সময়ক্ষেপণ হয়।
বর্তমানে চালকের লাইসেন্স প্রিন্টের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটি। চলতি মাসের ২২ তারিখ তাদের সঙ্গে বিআরটিএর চুক্তি শেষ হচ্ছে। টাইগার আইটির প্রকল্প পরিচালক এ বি এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী তিন বছরের মধ্যে প্রায় সব কার্ড দেওয়া হয়ে গেছে। এখন বিআরটিএ যে কটি লাইসেন্স প্রিন্ট দিতে বলে, আমরা সে কটি প্রিন্ট করে দিই। এর বাইরে আমাদের কিছু করার নেই।’
টাইগার আইটির সঙ্গে সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৩ জুন যে চুক্তি হয়, তাতে পাঁচ বছরে ১৫ লাখ স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স দেওয়ার কথা। তবে চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে সোয়া ১৪ লাখ লাইসেন্স সরবরাহ করতে হয়। এরপর কার্ড সরবরাহ কমে যায়। পরবর্তী ২০ মাসে মাত্র ৪৪ হাজার কার্ড বিতরণ করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী তাদের হাতে কার্ড আছে আর ৩০ হাজার।
কার্ড শেষ হয়ে আসার পর বিআরটিএর সামনে দুটি বিকল্প ছিল। চুক্তির বাকি সময় বাড়তি টাকা অনুমোদন করে টাইগার আইটিকে দিয়েই লাইসেন্স সরবরাহ করা। অথবা নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগ করা।
এর মধ্যে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) স্মার্ট কার্ড মুদ্রণসংক্রান্ত প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে ওবারথুর ও টাইগার আইটিকে সাড়ে ৯ বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করে বিশ্বব্যাংক। এ পরিস্থিতিতে টাইগার আইটির সঙ্গে বাড়তি কার্ডের জন্য আর চুক্তি করেনি বিআরটিএ। এরপর ৩৫ লাখ স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স সরবরাহের জন্য ২০১৯ সালের ১০ জুন নতুন দরপত্র আহ্বান করে তারা। দরপত্রের শর্ত পরিবর্তন ও কয়েক দফা দরপত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত তিনটি প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়। এগুলো হচ্ছে ফ্রান্সের সেল্প কার্ডস সলিউশন, ভারতের মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স এবং মালয়েশিয়ার পার্সিতাকান ক্যাসেলামাতান ন্যাসিওনাল। ফ্রান্সের কোম্পানি এজেন্ট করে আইবিসিএস-প্রাইম্যাক্স সফটওয়্যার লিমিটেডকে। টাইগার আইটি কালো তালিকাভুক্ত হওয়ায় তারা সরাসরি অংশ নিতে পারেনি। তবে আইবিসিএস-প্রাইম্যাক্সের সঙ্গে ভেতরে-ভেতরে তাদের একটা সমঝোতা হয় বলে একটি সূত্র জানায়।
অন্যদিকে মাদ্রাজ প্রিন্টার্সের এজেন্ট হয় সিএনএসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান লজিক ফোরাম। গত এক দশকে বিআরটিএর গ্রাহকদের নানা সেবা দিতে যেসব দরপত্র আহ্বান করে, এর সব কাজই পায় সিএনএস।
বিআরটিএ সূত্র জানায়, সর্বনিম্ন দরদাতা হয় সেল্প সলিউশন (আইবিসিএস-প্রাইম্যাক্স)। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা হয় মাদ্রাজ প্রিন্টার্স (লজিক ফোরাম)। পার্সিতাকান ক্যাসেলামাতান ন্যাসিওনাল তৃতীয় হয়।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দরপত্র মূল্যায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে মাদ্রাজ প্রিন্টার্স বিআরটিএ ও সড়ক মন্ত্রণালয়ে তিন দফা অভিযোগ করে জানায়, সর্বনিম্ন দরদাতা সেল্প সলিউশনের আইএসও সনদ মেয়াদোত্তীর্ণ। আরও কিছু দুর্বলতার কথা উল্লেখ করে তারা। তাদের অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে ওই দরপত্র বাতিল করে দেয় বিআরটিএ।
দ্বিতীয় দফায় একই প্রতিযোগী:
গত বছরের ২০ জানুয়ারিতে আহ্বান করা হয় দ্বিতীয় দফা দরপত্র। লাইসেন্সের সংখ্যা করা হয় ৪০ লাখ। সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পায় আগের সেই তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানই। এবার সর্বনিম্ন দরদাতা হয় মাদ্রাজ প্রিন্টার্স। তারা ১২০ কোটি টাকায় কাজ পায়। প্রতিটি স্মার্ট কার্ডের দাম ৩০০ টাকা ৬৬ পয়সা। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা সেল্প সলিউশন, ১৩২ কোটি টাকা। তাদের প্রতিটি কার্ডের দর ছিল ৩৩১ টাকা ১৫ পয়সা। পার্সিতাকান ক্যাসেলামাতান ন্যাসিওনালকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। মালয়েশিয়ান এ কোম্পানি মূলত মাদ্রাজ প্রিন্টার্সের ডামি হিসেবে অংশ নেয় বলে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে আলোচনা আছে।
জানা যায়, ২০২০ সালের ২৯ জুলাই ভারতীয় কোম্পানি মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে পাঁচ বছরে ৪০ লাখ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহের শতকোটি টাকার চুক্তি সই করে বিআরটিএ। এ চুক্তিতে মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের বাংলাদেশি এজেন্ট লজিক ফোরাম। চুক্তি অনুসারে ২০২০ সালের ২৯ জুলাই থেকে দুই মাসের মধ্যে প্রিন্ট করা স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড সরবরাহ করার কথা। করোনা পরিস্থিতির কারণে সেই সময় বাড়িয়ে সাড়ে চার মাস করা হয়। সে হিসাবে গত ডিসেম্বর থেকে প্রিন্ট করা স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড সরবরাহ করার কথা মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের। কিন্তু এক বছরেও বিআরটিএকে সময়মতো স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স সরবরাহ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠান। এমনকি ড্রাইভিং লাইসেন্সের নমুনাও দেখাতে পারেনি তারা।
বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ডিসেম্বরে মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স প্রাইভেট লিমিটেডের কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্সের নমুনা দেখতে চান। কিন্তু সেই নমুনা তারা এখনো দেখাতে পারেনি। পরে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স এখন পর্যন্ত সেন্ট্রাল এনরোলমেন্ট স্টেশন স্থাপনের কাজই শেষ করতে পারেনি। এখনো জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি বিভিন্ন জেলায়। স্টেশন স্থাপনের কাজে শর্ত না মানার অভিযোগও আছে।
সূত্র জানায়, আগ্রহী বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে উপেক্ষা করে কাজ দেওয়া হয় মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সকে। অথচ সব শর্ত পূরণ করে ৪৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারা এবং মাসে দুই লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড জনগণের হাতে পৌঁছে দিতে সক্ষম কম্পানিও এ ক্ষেত্রে আবেদন করেছিল। কিন্তু বহু অভিযোগে অভিযুক্ত ওই কম্পানিকেই শতকোটি টাকার ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড প্রকল্পের কাজ দিয়েছে বিআরটিএ। এ জন্য চারবার সংশোধন করা হয়েছে দরপত্রের শর্ত এবং দরপত্র বাতিল করে বাদ দেওয়া হয় যোগ্য কম্পানিকে। প্রথম দরপত্রে ফ্রান্সের একটি প্রতিষ্ঠান সর্বনিম্ন দরদাতা হয়ে দরপত্রের সব শর্ত পূরণ করলেও তাদের কাজ না দিয়ে দ্বিতীয়বার দরপত্র আহ্বান করে কাজ দেওয়া হয় এই মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সকেই।
বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞায় মাদ্রাস সিকিউরিটি প্রিন্টার্স : মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স নিজ দেশ ভারতেই আধার কার্ড প্রকল্পে আজীবন নিষিদ্ধ। ভারতের আধার কার্ড প্রকল্পে কাজ পেয়েছিল মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স। কিন্তু নাগরিকদের তথ্য বিক্রি করে দেয় তারা। ফলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আজীবন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। বের করে দেওয়া হয় তেলেঙ্গানার সামাজিক সুরক্ষা সেবা ‘মিসেভা’ প্রকল্প থেকেও। ভবিষ্যতেও ভারতের কোনো টেন্ডারে অংশ নিতে পারবে না কোম্পানিটি। দুর্নাম কুড়িয়েছে ভারতের বাইরেও। আফ্রিকার দেশ কেনিয়াতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঝুলছে মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের ৯ জন পরিচালকের বিরুদ্ধে। শ্রীলঙ্কাতেও ঘুষ-অনিয়মের মাধ্যমে কাজ বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আছে। মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের ব্যর্থতা বাংলাদেশেও নতুন কোনো ঘটনা নয়। বাংলাদেশে ২০১৫ সালে বিএমইটির ইমিগ্রেশন কার্ড সরবরাহের দায়িত্ব পেয়েও ব্যর্থ হয়েছিল মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স।
গত ৩০ মে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মিরপুর বিআরটিএ কার্যালয়ের লাইসেন্স সরবরাহের কাউন্টারের সামনে দুই শতাধিক লাইসেন্স প্রার্থীকে লাইনে দেখা যায়। নির্ধারিত তারিখে এসেও তাঁদের কেউ লাইসেন্স পাননি। সবাইকে আগামী বছরের জানুয়ারিতে আসতে বলা হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে লাইসেন্স পেতে দুই সপ্তাহ থেকে এক মাস সময় লাগত।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রথমত, এটা বিআরটিএর প্রশাসনিক ব্যর্থতা। তাই বিপুল মানুষের হয়রানি, ক্ষতির দায় তাদের নিতে হবে। এর বাইরে সরকারি কেনাকেটা–ঠিকাদার নিয়োগের দীর্ঘসূত্রতার বিষয়ও আছে। ফলে এতে যোগসাজশের মাধ্যমে দুর্নীতির আশঙ্কা থেকে যায়। পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার চেষ্টার কারণে এভাবে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে কি না, তা–ও খতিয়ে দেখা দরকার।