বেশ কিছুদিন ধরে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে প্রচণ্ড সংক্রামক করোনার ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। এর মধ্যেই সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ঢাকার শনাক্তে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ভয়াবহ তথ্য জানালো। সংস্থাটি বলছে, ঢাকায় আক্রান্তদের ৬৮ শতাংশের দেহে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৫ মে থেকে ৭ জুনের মধ্যে ঢাকার ৬০ জন করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ৪১ জন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে ৬৮ শতাংশ ক্ষেত্রে।
এছাড়াও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বাইরে ২২ জনের নমুনায় সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, দুই জনের নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট, একজনের উহান ভ্যারিয়েন্ট ও একজনের নমুনায় অজানা একটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়।
গত ২৬ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে ভারতের দ্রুত সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টের প্রবেশ ঠেকাতে সরকার দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। এরপরও সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার কথা জানা যায়। এরকম বেশ কয়েকটি জেলায় শনাক্তের হার সম্প্রতি ৫০ শতাংশও ছাড়িয়েছে।
করোনাভাইরাসের বি ১.৬১৭.২ ভ্যারিয়েন্টটি প্রথমে ভারতে শনাক্ত হয়। এই ভ্যারিয়েন্টের কারণেই দেশটিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে হু হু করে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। বিশ্বব্যাপী গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাজ ফেলেছে ডেল্টা নাম পাওয়া এই ভ্যারিয়েন্ট।
এর আগে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর জিনোম সিকোয়েন্সেও ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছিল। ৫০টি নমুনার মধ্যে ৪০টিতেই তখন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়। তবে এর মধ্যে মাত্র দুটি নমুনা ছিল ঢাকার। বাকি নমুনাগুলো ছিল দিনাজপুর, গাইবান্ধা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, পিরোজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ও খুলনা জেলার। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সামাজিক সংক্রমণ শুরু হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল তখনই।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় ঢাকা শহরের করোনা পরিস্থিতি খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের মতো হয়ে যেতে পারে।