তবে কি নতুন কোন দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছেন আকরাম খান ও খালেদ মাহমুদ সুজন? এমন প্রশ্ন মনে আসতেই পারে। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের জন্য বোলিং ও ব্যাটিং কোচ নিয়োগ দিয়েছে বাসিবি। এই কাজগুলো করে থাকে বিসিবির অপরেশন্স বিভাগ। বিসিবির অপরেশনন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান ও ভায়েস চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন। কিন্তু এবার কোচ নিয়োগের ক্ষেত্রে সুজনকে নাকি কিছুই জানো না হয়নি এবং তিনি এখন পর্যন্ত কিছুই জানেন না।
গণমাধ্যমে তিনি বলেছেন, দেখেন আমি অপরেশন্সের ভায়েস চেয়ারম্যান, কোচ নিয়োগের ব্যাপারে আমাকে কিছুই বলা হয়নি। আমি জানলাম আপনাদের কাছ থেকে। হয়তো প্রিমিয়ার লিগে বায়োবাবলে ছিলাম তাই কেউ আমাকে জানায়নি। তবে একটা ব্যাপার সেখানে কিন্তু আমার কাছে ফোন ছিলো। আর আমিই সবার প্রথম হেরাথের কথা বলেছিলাম বিসিবিকে।
গেল ২৬ জুনে ব্যাটিং কোচ প্রিন্স ও স্পিন কোচ হিসেবে হেরাথকে নিয়োগ দিয়েছে বাসিবি। কিন্তু যে কমিটি এই নিয়োগ দিলো সেই কমিটির ভায়েস চেয়ারম্যান জানলো না এ নিয়ে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছেই বটে। সুজন এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন গণমাধ্যমে, তিনি বলছেন আমাকে হয়তো তারা নামে ভায়েস চেয়ারম্যান হিসেবে রেখেছে। আমি আসলেই আছি কি না সেটাও আমি বুঝতে পারছি না। আমাকে তারা কোন মিটিংয়েও ডাকে না। মাঝখানে তো দুই বছর কোন মেইলই পায়নি। তবে এখন কিছু কিছু পাই। তারপরও সুজনের এমন কথায় হতবাক গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেখেন তারা আমাকে জানানোর না প্রয়োজন মনে করলে আমার পক্ষে কি জানা সম্ভব?
টিম লিডারের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন কিছুদিন আগেই। বিসিবির অনেক বিষয় নিয়ে তার মনে জন্ম নিয়েছে ক্ষোভও। তাই তিনি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিলেন, পাপন ভাই তো দায়িত্ব দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। এমন নয় যে বলেন তুমি এটা কেন করলে, এটা কেন করলে না, এটা করতে পারব না। উল্টো আমি যা চাই উনি আমাকে সবসময় সাপোর্ট করার চেষ্টা করেন।
বিসিবি বস তাকে স্বাধিনতা দিলেও তৃতীয় কোন ব্যাক্তিই কি সুজনের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চাইছেন? এবং সুজনকে সাইড করেই সব সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে, এমন প্রশ্ন কিন্তু ঘুরপাক খেতেই পারে সাধারণ মানুষের মনে। এখন দেখার বিষয় কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়।