আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার তাইগ্রে রাজ্যে চার লাখেরও বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে। আর দুর্ভিক্ষে কবলিত হওয়ার কাছাকাছি রয়েছে ১.৮ মিলিয়ন মানুষ। বিষয়টি উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা।
২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে তাইগ্রেতে সংঘাত চলে আসছে। সংঘাতটি চলছে ইথিওপিয়ার ফেডারেল সরকার ও তাইগ্রে পিপল’স লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলফ) এর অনুগত যোদ্ধাদের মধ্যে।
শুক্রবার তাইগ্রের সংঘাত নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে মিটিং করেছে। তাইগ্রে বাহিনী পুনরায় মেকেলে শহর দখলে নেয়ার পর এই মিটিং অনুষ্ঠিত হলো।
জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত এইড চিফ রমেশ রাজাসিংহম পরিষদকে বলেছেন, সম্প্রতি তাইগ্রেতে মানবিক পরিস্থিতি ‘নাটকীয়ভাবে খারাপ’ হয়েছে। সেখানে দুর্ভিক্ষে কবলিত মানুষের সংখ্যা ৫০ হাজার বেড়ে গিয়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘তাইগ্রেতে ৪ লাখের বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে। আরো ১.৮ মিলিয়ন মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ার কাছাকাছি রয়েছে। অনেকেই বলছেন, এই সংখ্যা বাস্তবে আরো বেশি হবে। ৩৩ হাজার শিশু মারাত্মকভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে।’
তিনি বলেন, ‘২ মিলিয়ন মানুষ বাড়িছাড়া হয়েছে। ৫.২ মিলিয়ন মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। তাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, এখানে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা মানুষের সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে।’
গত সোমবার ইথিওপিয়ার সরকার একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। কিন্তু টিপিএলএফ একে ‘রসিকতা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তাইগ্রেতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কোনো ফ্লাইট সেখানে যেতেও পারছে না। আবার আসতেও পারছে না। বিদ্যুৎসেবাও বিঘ্নিত হচ্ছে।