২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

তীব্র যানজট কমাতে ঢাকা-গাজীপুর রুটে বিশেষ ট্রেন রোববার

Advertisement

গাজীপুরের জয়দেবপুর-টঙ্গী হয়ে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে টঙ্গী হয়ে গাজীপুর পর্যন্ত তিনজোড়া বিশেষ ট্রেন চালু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সরদার সাহাদত আলী।

তিনি জানান, ঢাকা- গাজীপুর রেলপথে সকাল-বিকাল তুরাগ এক্সপ্রেস ট্রেন, টাঙ্গাইল কমিউটার এবং কালিয়াকৈর কমিউটারের তিন জোড়া ট্রেন যাতায়াত করবে।

এতে গাজীপুরবাসীর ঢাকা যাতায়াতে দুর্ভোগ কমবে বলে মনে করছেন তিনি।

এ পথের যাত্রীদের কথা উঠে এসছে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের ফেইসবুক পোস্টেও।

গত বুধবার এক ফেইসবুক স্ট্যাটাসে গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল জানান, গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রাস্তাটিকে যানজট মুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিআরটি প্রজেক্ট উপহার দিয়েছিলেন।

ঠিকাদারদের ক্রমাগত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে অনেক বছর ধরে ধীর গতিতে কাজ করায় মানুষের দুর্ভোগের কোনো সীমা নেই। আবার যখন বর্ষাকাল আসে এই দুর্ভোগ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়।”

এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী গাজীপুরসহ প্রায় ৩৭ জেলার মানুষের এ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি আরও লেখেন, গাজীপুর যাওয়ার সব বিকল্প রাস্তায় একসঙ্গে কাজ চলমান থাকায়, সেই রাস্তাগুলো বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে না পারায় এ দুর্ভোগ যেন আরও বেড়ে গেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা থেকে টঙ্গী ব্রিজ পার হয়ে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে যাত্রীদের প্রায় ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা সময় লাগছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের (স্টেশন) মাস্টার হালিম উজ্জামান জানান, আগে এ পথে ওই ট্রেনগুলো চলাচল করছিল। কিন্তু মহামারীতে সরকারি নির্দেশনায় অন্য গণপরিবহণের সঙ্গে ওই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

বিআরটি প্রকল্প পরিচালক ইলিয়াস শাহ জানান, ২০১২ সালে গাজীপুর থেকে রাজধানীর বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়কে গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের আওতায় দেশের প্রথম বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি ) প্রকল্প অনুমোদন হয়।

সব প্রক্রিয়া শেষে ২০১৭ সালে ‘ফিজিক্যালি প্রকল্পের কাজটি শুরু হয়’। তখন প্রকল্প ব্যয় ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা এবং মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু নানা কারণে ওই সময়ে প্রকল্পটির কাজ শেষ না হওয়ায় তার মেয়াদ ও খরচ বাড়ানো হয়। 

সর্বশেষ প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বর্তমানে কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৬০ ভাগ। সব ঠিকঠাক থাকলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।”

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement