২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

বর্ণবৈষম্য বিতর্কে তোলপাড় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট

Advertisement

বর্ণবৈষম্য বিতর্ক কিছুতেই যেন পিছু ছাড়ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের। বুধবার বর্ণবৈষম্যের অভিযোগে নাম জড়িয়ে গেল গ্রেম স্মিথ ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো ক্রিকেট কিংবদন্তিদেরও।

দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে বর্ণবৈষম্য সত্যিই এখনো আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছিল এসজেএন কমিশন। সেই কমিশনের পেশ করা ২৩৫ পাতার রিপোর্টে পরিষ্কার লেখা রয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড কর্তারা, দেশের নামজাদা ক্রিকেটারসহ অনেকেই বর্ণবৈষম্য চালিয়েছেন।

অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের বর্তমান ডিরেক্টর গ্রেম স্মিথ, হেড কোচ মার্ক বাউচার এবং কিংবদন্তি এবি ডি’ভিলিয়ার্সের দিকে।

বলা হয়েছে, তারা কোনো না কোনো বর্ণবৈষম্যকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। দল নির্বাচন করেছেন বর্ণের ভিত্তিতে! যে অভিযোগ মারাত্মক। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডে চিরস্থায়ী রদবদলের নির্দেশও দিয়েছে কমিশন। বলা হয়েছে, সেখানে ওম্বুডসম্যান বসাতে। যার কাজ হবে, বর্ণবৈষম্য যাতে আর না হয়, সেটা দেখা।

স্মিথের বিরুদ্ধে অভিযোগ, থামি সোলেকিলসকে ২০১২ সালে না খেলানো নিয়ে। বলা হচ্ছে, মার্ক বাউচার অবসর নেওয়ার পরেও থামিকে ভাবা হয়নি। সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড, স্মিথ স্বয়ং এবং নির্বাচকরা মিলে অনেক কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারের কেরিয়ারের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছিলেন। ডি’ভিলিয়র্সের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ।

২০১৫ সালে ভারত সফরের সময় খায়া জন্ডোকে খেলাননি এবি। তিনি তখন টিমের অধিনায়ক ছিলেন। ডুমিনি ছিটকে যাওয়ার পরেও জন্ডোকে না খেলিয়ে তিনি সিরিজের শেষ ম্যাচে ডিন এলগারকে খেলান। যিনি কি না ছিলেন টেস্ট টিমে।

মার্ক বাউচার আবার স্বীকার করেছেন যে, সতীর্থ স্পিনার পল অ্যাডামসের (যিনি শ্বেতাঙ্গ ছিলেন না) একটা বিশেষ নামকরণ হয়েছিল তার বর্ণের ভিত্তিতে। আর সেই নামকরণের নেপথ্যে তিনিও ছিলেন। তবে বাউচার বলে দিয়েছেন যে, তদন্ত প্রক্রিয়াকে সমর্থন করলেও তিনি কোনো দিন কোনো ক্রিকেটারের বর্ণের বিচারে সিদ্ধান্ত নেননি।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement