১০ অক্টোবর, ২০২৪, বৃহস্পতিবার

দেওয়ানি মামলার ধারণা

Advertisement

বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় দুই ধরনের মামলা রয়েছে। একটি হলো দেওয়ানি মামলা  এবং অপরটি ফৌজদারি মামলা।

দেওয়ানি মামলার ধরণ 

দেওয়ানি মামলার অনেক ধরন রয়েছে। যেমন: আর্থিক ক্ষতিপূরণের মামলা, সব ধরনের স্বত্ব, মানবিক সম্পর্ক (পিতা-পুত্র, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক) নিয়ে বিরোধ, মসজিদ/মন্দির/গীর্জায় প্রার্থনা করার অধিকার, ভোটাধিকার ইত্যাদি।

বিরোধ বা নিষ্পত্তির  সমাধানের জন্যে আদালতের দ্বারস্থ হওয়াকে দেওয়ানি মোকদ্দমার যোগ্যতা বলা হয়। দেওয়ানি আদালতে সাধারণত যাওয়া হয় যে কারণে,সেগুলো নীচে দেওয়া হলো:

১. জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ

নিজের সম্পত্তির অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য আদালতে মামলা দায়ের করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে আদালতের এখতিয়ার অনুযায়ী মামলা দায়ের করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে-

  • ঘোষণামূলক মোকদ্দমা
  • দলিল বাতিল
  • দলিল সংশোধন
  • চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা
  • বাটোয়ারা মামলা
  • চুক্তি রদ
  • সুনির্দিষ্ট চুক্তি প্রবলের মামলা
  • দখল পুনঃরুদ্ধার সংক্রান্ত মামলা
  • ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ মামলা
  • ইজমেন্ট মামলা
  • টাকা মামলা
  • অগ্রক্রয় মামলা
  • হক সুফা অগ্রক্রয় মামলা
  • অর্পিত সম্পত্তি পুনঃরুদ্ধার মামলা
  • ভুমি জরিপ সংক্রান্ত মামলা
  • আদেশমূলক নিষেধাজ্ঞা মামলা
  • ক্ষুদ্র মামলা
  • আর্বিট্রেশন মামলা
  • সাকসেশন মামলা

২.  পারিবারিক মামলা

পারিবারিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হলে  আদালতের সহায়তা নিতে হবে। পারিবারিক মামলার মধ্যে রয়েছে –

  • বিবাহ বিচ্ছেদ
  • দেন-মোহর
  • খোরপোষ
  • অভিভাবকত্ব
  • দাম্পত্য অধিকার পুনঃরুদ্ধার মামলা

৩.  অফিস সংক্রান্ত মামলা

প্রাতিষ্ঠানিক কোন সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে দেওয়ানি আদালতের কার্যক্ষমতা। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত মামলাগুলো করা যায়।  যেমন-

  • ঘোষনা মামলা
  • আদেশমূলক নিষেধাজ্ঞা
  • স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা
  • নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা
  • চুক্তি রদ সংক্রান্ত মামলা
Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement