বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় দুই ধরনের মামলা রয়েছে। একটি হলো দেওয়ানি মামলা এবং অপরটি ফৌজদারি মামলা।
দেওয়ানি মামলার ধরণ
দেওয়ানি মামলার অনেক ধরন রয়েছে। যেমন: আর্থিক ক্ষতিপূরণের মামলা, সব ধরনের স্বত্ব, মানবিক সম্পর্ক (পিতা-পুত্র, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক) নিয়ে বিরোধ, মসজিদ/মন্দির/গীর্জায় প্রার্থনা করার অধিকার, ভোটাধিকার ইত্যাদি।
বিরোধ বা নিষ্পত্তির সমাধানের জন্যে আদালতের দ্বারস্থ হওয়াকে দেওয়ানি মোকদ্দমার যোগ্যতা বলা হয়। দেওয়ানি আদালতে সাধারণত যাওয়া হয় যে কারণে,সেগুলো নীচে দেওয়া হলো:
১. জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ
নিজের সম্পত্তির অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য আদালতে মামলা দায়ের করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে আদালতের এখতিয়ার অনুযায়ী মামলা দায়ের করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে-
- ঘোষণামূলক মোকদ্দমা
- দলিল বাতিল
- দলিল সংশোধন
- চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা
- বাটোয়ারা মামলা
- চুক্তি রদ
- সুনির্দিষ্ট চুক্তি প্রবলের মামলা
- দখল পুনঃরুদ্ধার সংক্রান্ত মামলা
- ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ মামলা
- ইজমেন্ট মামলা
- টাকা মামলা
- অগ্রক্রয় মামলা
- হক সুফা অগ্রক্রয় মামলা
- অর্পিত সম্পত্তি পুনঃরুদ্ধার মামলা
- ভুমি জরিপ সংক্রান্ত মামলা
- আদেশমূলক নিষেধাজ্ঞা মামলা
- ক্ষুদ্র মামলা
- আর্বিট্রেশন মামলা
- সাকসেশন মামলা
২. পারিবারিক মামলা
পারিবারিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হলে আদালতের সহায়তা নিতে হবে। পারিবারিক মামলার মধ্যে রয়েছে –
- বিবাহ বিচ্ছেদ
- দেন-মোহর
- খোরপোষ
- অভিভাবকত্ব
- দাম্পত্য অধিকার পুনঃরুদ্ধার মামলা
৩. অফিস সংক্রান্ত মামলা
প্রাতিষ্ঠানিক কোন সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে দেওয়ানি আদালতের কার্যক্ষমতা। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত মামলাগুলো করা যায়। যেমন-
- ঘোষনা মামলা
- আদেশমূলক নিষেধাজ্ঞা
- স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা
- নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা
- চুক্তি রদ সংক্রান্ত মামলা