গত বছরের ২৩ জুন, গাজীপুরের কালিগঞ্জের মধ্য পানজোরা গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী (২৫) সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের দুদিন পর স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যানুযায়ি তার মরদেহ উপজেলার নগরভেলা গ্রামের বালু নদী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
মানসিক ভারসাম্য হওয়ায় ভুক্তভোগী পানিতে ডুবে মারা গেছেন বলে ধারণা করেন স্বজনরা। এ ঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। কিন্তু মামলাটি তদন্তকালে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তরুণীকে ধর্ষণের পর পানিতে ডুবিয়ে হত্যার বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে কালিগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং হত্যা মামলা হয়। কালিগঞ্জ থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করার এক মাস পর পিবিআইকে তদন্তের ভার দেয় পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স।
ধর্ষণের পর হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায়প্রায় দেড় বছর পর বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) মো. সোলায়মান আলী (২২) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। নীলফামারীর ডিমলা থানার পশ্চিম খড়িবাড়ী গ্রামে শ্বশুড়বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একই এলাকার মো. নুর হোসেনের ছেলে সোলায়মান। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সোলায়মান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন জানান, সোলায়মান ও তার সহযোগীরা উলুখোলা এলাকার একটি কারখানার নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে চাকরি করতেন। নিহত তরুণী সেখানে চাকরি খুঁজতে গেলে অভিযুক্তরা তাকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কারখানার পাশে তাদের মেসে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তরুণীকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে একটি সিএনজি ভাড়া করে উলুখোলা সেতুতে নিয়ে যায় আসামিরা। সেখানে তারা তাকে বালু নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যা করে।
পিবিআইয়ের জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, এ ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতার সোলায়মান। বাকিদের আসামিদের চিহ্নিতকরণসহ গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে পিবিআই।