বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরগুলোর যে নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ), তাতে বাংলাদেশের ঢাকার অবস্থান হয়েছে নীচের দিক থেকে চার নম্বর।
২০২১ সালের এই তালিকার ১৪০টি দেশের মধ্যে ঢাকার অবস্থান হয়েছে ১৩৭তম। তালিকায় ঢাকার নীচে রয়েছে পাপুয়া নিউগিনির পোর্ট মোরেসবি, নাইজেরিয়ার লাগোস এবং সিরিয়ার দামেস্ক।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) জরিপ অনুযায়ী, বসবাসের জন্য সবচেয়ে আদর্শ শহর হলো নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড। এরপরে রয়েছে জাপানের ওসাকা, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড, নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন ও জাপানের টোকিও।
বসবাসের যোগ্য শহর বিবেচনায় পাঁচটি বিষয় আমলে নেয়া হয়। এগুলো হলো: স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো। মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে এই বিশ্লেষণ করা হয়।
ঢাকা পেয়েছে ৩৩.৫ নম্বর। এর মধ্যে শহরের স্থিতিশীলতায় ৫৫, স্বাস্থ্যসেবায় ১৬ দশমিক ৭, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৩০ দশমিক ৮, শিক্ষায় ৩৩ দশমিক ৩ এবং অবকাঠামোতে ২৬ দশমিক ৮ নম্বর পেয়েছে। গত বছর ঢাকা পেয়েছিল ৩৯ দশমিক ২ নম্বর।
করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশের নেয়া নানা পদক্ষেপ এবারের তালিকায় বিশেষ প্রভাব ফেলেছে।
ইআইইউ বলছেন, মহামারির কারণে সারা বিশ্বেই বাসযোগ্যতার হার আগের তুলনায় অন্তত সাত শতাংশ অবনতি হয়েছে। যেসব দেশ কড়াকড়িভাব সীমান্ত বন্ধ করে, স্বাস্থ্য সংকট সামলাতে পেরেছে এবং টিকাদান কার্যক্রম সফল করতে পেরেছে, সেসব কাজ তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণে বিশেষ প্রভাব রেখেছে।
এই তালিকার শীর্ষে ওঠা অকল্যান্ড যেমন বিশ্বের অন্য শহরগুলোর তুলনায় কোভিড-১৯ ঠেকাতে দ্রুত সক্ষত হয়েছে এবং কড়াকড়িও তাড়াতাড়ি তুলে নিতে পেরেছে। বিশেষ করে লকডাউন বসবাসযোগ্য শহরগুলোর মাণ নির্ধারণে বিশেষ প্রভাব ফেলেছে।
বাংলাদেশের ঢাকা অবশ্য গত বছরের তুলনায় তালিকায় একটু এগিয়েছে। ২০২০ সালে ঢাকার অবস্থান ১৩৮ নম্বরে থাকলেও এবার একধাপ এগিয়েছে। বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে আলজিয়ার্স, ত্রিপলি, করাচি ইত্যাদি শহর।
কয়েক বছর ধরে বিশ্বের বাসযোগ্য শহরের শীর্ষে থাকা ভিয়েনার এবার অবস্থান হয়েছে ১২তম।