২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

নরেন্দ্র মোদির তথ্যচিত্র প্রচার বন্ধের নির্দেশ ভারত সরকারের

Advertisement

গুজরাট দাঙ্গা ও নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে তৈরি ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (বিবিসি) তৈরি তথ্যচিত্রটি প্রচার বন্ধ করতে  ইউটিউবকে নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।

এছাড়াও ভারতের সরকারকে নিয়ে অন্তত ৫০টি টুইট, যেখানে ওই তথ্যচিত্রের ‘লিংক’ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোও বন্ধ করতে টুইটারকে বলা হয়েছে। ভবিষ্যতেও যদি কেউ এমন কাজ করে, সে ক্ষেত্রেও তা মুছে দেওয়ার নির্দেশ ইউটিউব ও টুইটারকে দেওয়া হয়েছে।

‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোশ্চেন’ নামের ওই তথ্যচিত্র বিজেপি ও গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ও বর্তমানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা তুলে ধরেছে। এটা নিয়ে  নিয়ে যুক্তরাজ্য ও ভারতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিবিসির এ তথ্যচিত্রকে প্রোপাগান্ডা বলে অখ্যায়িত করেছে ভারতের ক্ষমতাসীন পার্টি বিজেপি।

এদিকে তথ্যচিত্রটি সম্পর্কে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তার সঙ্গে তিনি সহমত নন। বিবিসি ওই তথ্যচিত্র ভারতে সম্প্রচার করেনি। তথ্যচিত্রটির দ্বিতীয় ভাগ সম্প্রচারিত হবে ২৪ জানুয়ারি।

তবে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও রাজধানী নয়া দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থি ছাত্র ইউনিয়নের একদল শিক্ষার্থী সিদ্ধান্ত নেন মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একসঙ্গে এই তথ্যচিত্র দেখবেন তারা। এজন্য একটি প্রদর্শনীরও আয়োজন করেন তারা। কিন্তু এতে বাধা সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, ‘এ ধরনের প্রদর্শনী ক্যাম্পাসের স্থিতিশীলতার নষ্ট করবে।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, শিক্ষার্থীরা যেন বড় পর্দায় এ তথ্য চিত্রটির প্রদর্শন করতে না পারেন সে জন্য ক্যাম্পাসের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয় এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র উপদেষ্টা কাঞ্চন গুপ্ত জানিয়েছেন, মোদিকে নিয়ে প্রচারিত বিবিসির প্রথম পর্ব ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া টুইটারে এ নিয়ে প্রায় ৫০টি লিংক শেয়ার করা হয়েছে। এগুলোও সরিয়ে ফেলতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। শনিবার এক টুইট বার্তায় তিনি একথা জানান। তিনি বলেন, আইটি আইনের ধারা ২০২১ অনুযায়ী এসব লিংক সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement