বেড়েই চলছে পদ্মার পানি। এতে পানি ঢুকে প্লাবিত মুন্সিগঞ্জের নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জেলার ভাগ্যকূল পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৬ মিটার ওপর দিয়ে এবং মাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পদ্মা নদীর পানি। প্লাবিত হয়েছে জেলার নদী-তীরবর্তী টঙ্গীবাড়ী ও লৌহজং উপজেলার গ্রাম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাসাইল-বানারী, কামারখাড়া, দিঘিরপাড়, পাঁচগাও এবং লৌহজং উপজেলার কলমা, কনকসার, হলদিয়া, কুমারভোগ, মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের নিচু গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। টানা পানি বাড়ায় অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকায়ও পানি ঢুকতে শুরু করেছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নরেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জানান, পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পদ্মায় পানি বাড়তে থাকবে। এরপর পানি কমার সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টিতপাত হলে আরও কিছুদিন পানি বাড়তে পারে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বন্যার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে জেলার ছয়টি উপজেলায় ৫ টন করে জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে দুর্ভোগে পড়া পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি না হওয়ায় এসব চাল বিতরণ করা সম্ভব হয়নি।