ইরাক, মিসর ও জর্ডান নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে সম্মত হয়েছে। রোববার বাগদাদে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় শীর্ষ সস্মেলনে তিন দেশ এই সহযোগিতা জোরদারে সম্মত হয়।
এদিকে গত তিন দশকেরও বেশি সময় পরে মিসরের কোনো রাষ্ট্র প্রধান ইরাক সফর করেছেন। ইরাক মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক আরো নিবিড় করতে চাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে ত্রিপক্ষীয় এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে বাগদাদ সফরে আসেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি এবং জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ।
উভয় নেতা ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সলিহ এবং প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল খাদেমির সাথে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে খাদেমি এবং সিসি ও দ্বিতীয় আবুদল্লাহর সাথে। এ সময় নেতৃবৃন্দ সিরিয়ার ১০ বছরের গৃহযুদ্ধ অবসানে জাতিসংঘ প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। তারা লিবিয়া ও ইয়েমেনে স্থিতিশীলতা অর্জনে যে প্রচেষ্টা চলছে তাকে স্বাগত জানান।
একই সঙ্গে নেতৃবৃন্দ ইসরাইল ও ফিলিস্তিনে ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠারও আহ্বান জানান।
এছাড়া তারা এই আলোচনায় মে মাসে গাজা ও ইসরাইলের মধ্যকার সংঘাত নিরসনে মিসরের মধ্যস্থতার প্রশংসা করেন।
সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন ও ফিলিস্তিন বিষয়ে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের ক্ষেত্রে একইভাবে কাজ করে যাবেন-সম্মেলনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল খাদেমি এই কথা বলেন।
ইরাকি শাসক সাদ্দাম হোসেনের বাহিনী ১৯৯০ সালে কুয়েত আক্রমণের পর মিসরের প্রেসিডেন্ট সিসি এই প্রথম বাগদাদ সফরে এলেন। সম্প্রতি উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হয়েছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নারী মুখপাত্র নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ওয়াশিংটন ঐতিহাসিক এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছে। মিশর, ইরাক ও জর্ডানের মধ্যে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা জোরদার এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অর্জনে এই পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।