জেমি মানেই আক্রমণাত্মক ফুটবল। কিন্তু এবার সেটি করেননি বাংলার ফুটবলের হেড কোচ। প্রথমার্ধে রক্ষণভাগ আগলে রেখে সুযোগ সন্ধানী মনোভাব নিয়েই খেলিয়েছে ফুটবলের টাইগারদের। কোচের ভাষা ঠিকই বুঝেছে জামালরা। তাই প্রথমার্ধে কোন স্কোরের সুযোগ দেয়নি প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানকে। যাও দুই একটা আক্রমণ করেছে তাও ঠেকিয়ে দিয়েছে বাংলার বাজপাখি জিকো। যার ফলে প্রথম ৪৫ মিনিটে টেকনিক্যালি এগিয়ে ছিলো বাংলাদেশ। টাইগার ফুটবলাররাও আক্রমণ করেছে কিন্তু কাজে আসে আসেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে পাল্টে যায় সব নিয়ম কানুন। আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা সেটাই কাল হয়ে ওঠে তপু বর্মনদের জন্য। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর কয়েক মিনিটের মাথায় গোল হজম করতে হয় বাংলাদেশকে। এবার ব্যর্থ হয় বাংলার বাজপাখি জিকো। আফগানিস্তানের হয়ে জিকোকে ফাঁকি দেন আমির শারিফি। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে স্কোর করে মাঠে উপস্থিত আফগানিদের আনন্দে মাতান তিনি।
এরপরেই শুরু হয় বাঘেদের গর্জন। একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষের ডিফেন্সকে করে তোলে নাজেহাল। বেশ কয়েকটি সুযোগ সৃষ্টি করলেও গোলের দেখা পাচ্ছিলো না জেমি ডের সাগরেদরা। অবশেষ ম্যাচের ৮৪ মিনিটে বাংলার প্রাণ ফিরিয়ে আনে তপু। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে হারের লজ্জা থেকে টাইগারদের রক্ষা করেন তপু বর্মণ। ম্যাচের বাকি সময় স্কোর করতে পারেনি কোন দল তাইতো শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল। আর ভারতে পরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আফগানদের থেকেও পয়েন্ট ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ।