মানিকগঞ্জ শহরের একটি ফ্লাট থেকে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর হাত-মুখ বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে কেন এ হত্যাকাণ্ড, এ নিয়ে এখনও কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।
নিহত ওই নারীর নাম বিলকিস আক্তার (৩০)। তিনি দুই সন্তানের মা। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের শ্রীবাড়ি গ্রামের মাজেদ আলীর মেয়ে তিনি। পুলিশ সদস্য মাসুদ রানা মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের পারুরিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
ফ্ল্যাট মালিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত আগস্ট মাসে পুলিশ কনস্টেবল মাসুদ রানা জেলা শহরের রিজার্ভ ট্যাংক এলাকার পাঁচ তলাবিশিষ্ট ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। সেখানে তার স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান থাকলেও তিনি গাজীপুরে কর্মস্থলে থাকেন। পুলিশ স্বামী মাঝেমধ্যে ছুটি পেলে বাসায় আসতেন। নিহত নারীর বড় ছেলের বয়স ১৩ আর মেয়ের বয়স ৮ বছর।
শনিবার সকাল নয়টার দিকে ওই ফ্ল্যাটের ভেতরে নিহত নারীর দুই শিশুর কান্না শুনে ভেতরে যান বাড়ির মালিক। এরপর তিনিসহ কয়েকজন প্রতিবেশী দুই হাত, দুই পা এবং মুখ বাঁধা এবং গলায় কাপড় পেঁচানো অবস্থায় অপর একটি কক্ষে খাটে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানান।
খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। এরপর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ভাস্কর সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দুপুরের দিকে পুলিশ ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ভাস্কর সাহা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে তদন্তের পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর হাত-মুখ বাধা লাশ উদ্ধার

Advertisement
Advertisement