১৫ নভেম্বর, ২০২৪, শুক্রবার

পূর্বরূপে নিম্ন আদালত

Advertisement

রোববার থেকে দেশের সকল অধস্তন আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতেই বিচার কাজ পরিচালিত হয়েছে। দীর্ঘ দুই মাস পনেরো দিন পর অধস্তন আদালতের ভার্চুয়াল বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

তবে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও ঢাকার নিম্ন আদালত পুরোপুরি কর্মমুখর হয়ে ওঠেনি। শনিবার রাতে আকস্মিকভাবে জারি করা নোটিশে খুব একটা ব্যস্ত প্রভাব পড়েনি আদালত পাড়ায়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রথম দিনে ভার্চ্যুয়াল আদালতের পরিবর্তে জামিন শুনানিগুলো এজলাসে হয়েছে। আইনজীবীরা যথাসম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিচারকাজে অংশ নিয়েছেন।

প্রথম দিনে স্থগিত থাকা মামলা শুরুর জন্য আদালতে তারিখ দেওয়া হয়েছে। সেই হিসেবে সবগুলো মামলা সচল হতে সপ্তাহ খানেক সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে প্রধান বিচারপতি জনাব  সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো: আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অধস্তন সকল দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে আগামী ২০ জুন হতে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তবে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক কোনো জেলা সদর কিংবা মহানগরে কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে চলাচলে বিধি-নিষেধ জারি হলে সংশ্লিষ্ট জেলা বা মহানগরের দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন ও জরুরী দরখাস্ত শুনানি করা যাবে।’

এছাড়া দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলায় আদালতে পক্ষগণের উপস্থিতির আবশ্যকতা নেই। সেক্ষেত্রে পক্ষগণের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী আদালতে হাজিরা দাখিল করবেন। কারাগারে থাকা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনভাবে আদালত প্রাঙ্গণে বা এজলাস কক্ষে হাজির করার আবশ্যকতা নেই।

এই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আদালত প্রাঙ্গণ এবং এজলাস কক্ষে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত হাইকোর্ট বিভাগের নিদের্শনা প্রতিপালন করতে হবে।’ 

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement