৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, মঙ্গলবার

প্রধানমন্ত্রীর উপহার: স্থায়ী ঠিকানা পেল ৫৩ হাজার ৩৪০ পরিবার

Advertisement

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৪০ পরিবারকে দুই শতক জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের ৪৫৯টি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন এসব মানুষদের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেন সরকারপ্রধান। 

মুজিববর্ষে ভূমিহীন-গৃহহীন সব অসহায় মানুষকে নতুন ঘর উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ঘর বিতরণ করেন। 

এ সময় গণভবনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং ৪৫৯টি উপজেলা প্রান্ত হতে উপকারভোগী, জনপ্রতিনিধি এবং মাঠ প্রশাসনে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা সংযুক্ত ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে বেশ কয়েকটি এলাকার উপকারভোগী, জনপ্রতিনিধি ও মাঠ প্রশাসনে প্রজাতন্ত্রের ঊর্ধ্বতন কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ১ লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে।

মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে গত ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একসঙ্গে ৬৫ হাজার ৪০ জন ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে উপহার দিয়েছেন স্বপ্নের নিজস্ব ঠিকানা।

স্বপ্নের স্থায়ী নীড় পেয়ে মুখে আনন্দের হাসি, উচ্ছ্বাস দেখা গেছে সারাদেশের ভিক্ষুক, ছিন্নমূল, বিধবা, দিনমজুর, বেদে, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ যুগ যুগ ধরে ভাসমান হয়ে চলা গৃহহীন এসব মানুষদের মাঝে। যুগের পর যুগ ঠিকানাবিহীন মানুষের স্থায়ী নিবাস প্রাপ্তি উপলক্ষে সারাদেশের উপজেলা প্রান্তগুলোতে উৎবের আমেজ বিরাজ করছে।

ভূমি ও গৃহহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ‘আশ্রয়ণ’ নামে প্রকল্প নেয়া হয়, যা প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত তিন লাখ ৭৩ হাজার ৫৬২টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়।

এরপর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ‘গৃহ প্রদান নীতিমালা ২০২০’ প্রণয়ন করা হয়। এ লক্ষ্যে গত বছর জুনে সারা দেশে দুই শ্রেণিতে ভূমি ও গৃহহীন পরিবার এবং যাদের এক থেকে ১০ শতাংশ জমি আছে কিন্তু ঘর নেই বা জরাজীর্ণ ঘর রয়েছে এমন আট লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি পরিবারের তালিকা করা হয়। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নেয়া হয় তাদের জীবন বদলের উদ্যোগ।    

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement