২৭ জুলাই, ২০২৪, শনিবার

প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক

Advertisement

আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক হবে বলে প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গতকাল শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ প্রত্যাশার কথা জানান। সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে এ ভাষণ দেন।

গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণটি বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। প্রধানমন্ত্রী দেশের রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ জানান, তারা যেন সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়—এমন কোনো ধারণাকে প্রশ্রয় না দেয় এবং ইন্ধন না জোগায়।

গতকাল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা ক্ষমতায় থাকার ১৪ বছর পূর্ণ হয়। ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ সাল থেকে গত ১৪ বছরে সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের তথ্য তুলে ধরেন।

দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ বছরের শেষে অথবা সামনের বছরের শুরুতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এখন থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী, ক্ষমতালোভী, জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারী আর পরগাছা গোষ্ঠীর সরব তৎপরতা শুরু হয়েছে। এদের লক্ষ্য ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে পেছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করা, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করা। এরা লুণ্ঠন করা অর্থ দিয়ে দেশে-বিদেশে ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী ও বিবৃতিজীবী নিয়োগ করেছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরা মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এদের মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবেন না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল ও এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ, সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়—এমন কোনো উদ্ভট ধারণাকে প্রশ্রয় দেবেন না এবং ইন্ধন জোগাবেন না। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য বাংলাদেশে এই প্রথম একটি আইন পাস করা হয়েছে। সেই আইনের আওতায় সার্চ কমিটি করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে আর্থিক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। সরকার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে।’,

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের দল, জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। জনগণ ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে আওয়ামী লীগ দেশ গড়ার জাতীয় দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে। যদি বিজয়ী না করে, তাহলে আমরা জনগণের কাতারে চলে যাব। তবে যেখানেই থাকি, আমরা জনগণের সেবা করে যাব। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে কেউ যাতে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে, সেদিকে সবার সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে কেউ যাতে আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করে মানুষের জানমালের এবং জীবিকার ক্ষতি সাধন করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’,

সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশ এগিয়েছে অনেক। তবে আরো এগিয়ে নিতে হবে।

একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ অর্জন আমাদের লক্ষ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পর আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নানা অনুষঙ্গ ধারণ করে আমরা তরুণদের প্রশিক্ষিত করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট শিল্প-কলকারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্যি, কৃষিসহ সব ক্ষেত্রে রোবোটিকস, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, ন্যানো টেকনোলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, জৈব প্রযুক্তি অর্থাৎ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। সব ক্ষেত্রে গবেষণার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

Advertisementspot_img
Advertisement

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

Advertisement