কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে কণ্ঠযোদ্ধা ফকির আলমগীরকে। এরপর দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটল বাংলাদেশের গণসংগীতের এক নক্ষত্রের জীবনকালের। যদিও ও সখিনা গেছস কি না ভুইলা আমারে বা অন্য আরও বহু জনপ্রিয় গণসঙ্গীতের মধ্যে বেঁচে থাকবেন ফকির আলমগীর।
আজ বেলা পৌনে ১২টায় ফকির আলমগীরের মরদেহ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় সেখানে ফকির আলমগীরকে শেষ শ্রদ্ধা জানান সংস্কৃতি অঙ্গনের সহকর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট নাগরিকরা।
প্রথমেই আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা জানান।
শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান ফকির আলমগীর। আজ সকাল ১১টায় রাজধানীর খিলগাঁওয়ের পল্লীমা সংসদে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রথম নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে বাদ যোহর খিলগাঁও মাটির মসজিদে দ্বিতীয় নামাজের জানাজা শেষে খিলগাঁওয়ের তালতলা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।