দুই ডোজের কোভিড-১৯ টিকার একটি অ্যাস্ট্রাজেনেকা আর একটি ফাইজারের নিয়ে অধিক মাত্রায় প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। এতে একদিকে যেমন বেশি হারে কোভিড-১৯ বিরোধী এন্টিবডি তৈরি হয়, অন্যদিকে টি-সেল রেসপন্সও ভাল পাওয়া যায়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, ৮৩০ জনের উপর গবেষণা চালিয়ে এ ফলাফল পেয়েছে অক্সফোর্ড। এক্ষেত্রে দু’টি ভিন্ন টিকার দু’টি ডোজ একটি পর আরেকটি ১২ সপ্তাহ ব্যবধানে নিতে হয়।
ফাইজারের এক ডোজ নেওয়ার ১২ সপ্তাহ পর অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক ডোজ নিলে উচ্চমাত্রায় এন্টিবডি তৈরি হয়। আর অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক ডোজের ১২ পর ফাইজারের এক ডোজ নিলে সবচেয়ে ভাল টি-সেল রেসপন্স পাওয়া যায়।
অক্সফোর্ডের পরিচালিত গবেষণাটির আরো বলছে, দুই ডোজের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার চেয়ে দুই টিকার এই মিশ্রণে অধিক কার্যকরী ফল পাওয়া গেছে।
এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাথিউ স্ন্যাপ বলেন, এটা উৎসাহব্যঞ্জক। দুই টিকার দুই ডোজের এই মিশ্রণে এন্টিবডি এবং টি-সেল রেসপন্স ভাল।
বৃটেনে টিকা কার্যক্রমে চল্লিশোর্ধ্বদের ৮ সপ্তাহ ব্যবধানে দুই ডোজ দেওয়া হচ্ছে। আর অন্য প্রাপ্ত বয়স্কদের দেওয়া হচ্ছে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজের টিকা।
দেশটির ৮০ শতাংশের বেশি প্রাপ্তবয়স্ককে এক ডোজ দেওয়া হয়েছে। আর ৬০ শতাংশ মানুষ এক ডোজ টিকা নিয়েছে।