বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে প্রেমের স্বপ্ন দেখতেন না এমন পুরুষ পাওয়া বেশ কঠিন। সালমান খানও বাদ যাননি তার প্রেমিক হওয়ার অপবাদ থেকে। প্রেম নিয়ে ঐশ্বরিয়া বিতর্ক এড়িয়ে চললেও মিডিয়া কিন্তু তার পিছু ছাড়েনি কখনো। এমনকি বিয়ের পরও অনেক কিছুই সহ্য করতে হয়েচে তাকে। এমনকি এক মডেলকে নিয়ে অভিনেত্রী মনীষা কৈরালার সাথেও ঝগড়া হয়েছিল তার। সেই সুদূর ১৯৯৪ সালে একটি ম্যাগাজিনে মনীষার সাক্ষাৎকারে এই ঘটনা প্রকাশ পায়। মডেল রাজীব মুলচন্দানি নাকি ঐশ্বরিয়ার জন্য মনীষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন- এমনটাই অভিযোগ ছিল তার।
মডেলিংয়ের সূত্র ধরে রাজীবের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিলো ঐশ্বরিয়ার। তখন তিনি মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা জিতে প্রথম সারির মডেল হিসেবে বেশ নাম করেছিলেন। তখন মনীষা কৈরালা, সুপারমডেল রাজীবের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। কিন্তু তাদের প্রেমের মাঝে পথের কাঁটা হয়ে ছেদ ঘটাবেন ঐশ্বরিয়া- এমন ধারণা ছিল মনীষার। কিন্তু ধামাচাপা পড়া বিষয়টি ভুলে যেতে পারছিলেন না তিনি। এরপর ১৯৯৫ সালে মনীষার ‘বম্বে’ ছবি মুক্তি পায়। ঐশ্বরিয়া পুরনো বিবাদ ভুলে শুভেচ্ছা জানিয়ে মনীষার সাথে নতুন ভাবে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু পরদিনই সংবাদমাধ্যমে ফের মনীষা পুরনো প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষ করে বসেন তাকে।
মনীষা দাবি করেন, রাজীব নাকি তাকে ঐশ্বরিয়ার লেখা প্রেমপত্র দেখিয়েছেন। অর্থাৎ রাজীব মুলচন্দানি কে ঐশ্বরিয়া কেড়ে নিয়েছেন তার ভালবাসার ফাঁদে ফেলে। তবে পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করেন ঐশ্বরিয়া। কারণ তা সত্য হলে আরও আগেই সবাই জানতে পারতো।
রাজীব তার বন্ধুমাত্র এবং মনীষার প্রেমের মাঝে তিনি ঢুকতে কোন আগ্রহও নেই তার- এমনটি স্পষ্ট বলে মনীষার বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ঐশ্বরিয়া।
মনীষাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে ঐশ্বরিয়া জানান, প্রতি দুই মাস অন্তরই নাকি মনীষা প্রেমিক বদলান। মনীষাও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ঐশ্বরিয়াকে নীচ মানসিকতার মানুষ বলে অভিহিত করেন। তবে ঘটনার মাঝে বসে থাকা রাজীব- বিষয়টি নিয়ে কারো সমর্থনে বা বিপক্ষে কিছু বলেননি।