কারাগার হলো সংশোধনাগার। ভুল করে অপরাধ আর ইচ্ছেকৃত অপরাধে দন্ড নিয়েও সাজা শেষে ফিরবেন সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে। তাই কয়েদিরাও কারাগারে বসে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। তারা নিপুণ হাতে কারুকাজে তৈজস আর গৃহস্থালি পণ্য তৈরি করে আয় করেন টাকা। তাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে এমন উদ্যোগ থাকা প্রশংসনীয়। তাছাড়া কারাপণ্যের দাম সাশ্রয়ী থাকায় আগ্রহ
রয়েছে সাধারণ ক্রেতাদের। অতীতের মতো এবারও ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৭তম আসরে স্থান পেয়েছে কারাপণ্যের প্যাভিলিয়ন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেলার প্রধান ফটকের সামনেই প্যাভিলিয়নের অবস্থান। শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন থাকায় মেলায় ছিল প্রচুর দর্শনার্থীদের উপস্থিতি। নানা পণ্যের পাশাপাশি মেলায় থাকা দেশের ৩৮টি কারাগারের সশ্রম কারাদ-প্রাপ্তদের হাতে তৈরি পণ্যে আগ্রহ দেখা গেছে দর্শনার্থীদের। বিক্রিও হচ্ছে তুলনামূলক বেশি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার শাহ রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে ৬৮টি কারাগার রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগ করছেন অনেকে। কারাগারে দীর্ঘ মেয়াদি বন্দি রয়েছেন প্রায় ৬৯ হাজার। তাদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে শেখানো হয়েছে নানা ধরনের হস্তশিল্পের পণ্য। হাতেখড়ি শেষে তাদের দেয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। আর অবসরে এসব সরঞ্জাম দিয়ে নিজ হাতে তৈরি করছেন নানা রকমের পণ্য। প্রতিবছরের মতো এবারও স্টল নিয়েছেন কারাবন্দিদের হাতে তৈরি পণ্যের। কারাবন্দিদের পণ্য বিক্রির জন্য ‘কারা পণ্য বাংলাদেশ জেল’ নামে একটি প্যাভিলিয়ন সাজানো হয়েছে।
‘গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ ও ২, মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, নারায়ণগঞ্জ কারাগার, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার, ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার, ফরিদপুর জেলা কারাগার, খুলনা জেলা কারাগারসহ ৩৮টি কারাগারের বন্দিদের হাতে তৈরি নানা পণ্য এখানে তোলা হয়েছে।