চিকিৎসায় অবহেলা ছিল বলে বাসচালক মিজান মারা গেছে এমন অভিযোগে আজ (০৬ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টা থেকে চাঁদপুরের সঙ্গে বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহন শ্রমিকরা। শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেছে। পৌর বাস টার্মিনালের কিছু অংশ ভাঙচুর করেছে তারা। সে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ ও বাস চালকদের থেকে জানা যায়, গতকাল (০৫ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুর সদরের চাঁদখার বাজার এলাকায় পদ্মা বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তাতে এক শিশু নিহতসহ আহত হয় বাসের ১০ যাত্রী। বাসের চালক মিজান মোল্লা (৩৫) গুরুতর আহত হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাস চালক মিজান মোল্লাকে ঢাকা পাঠানো হয়। পরে ঐ দিন রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিজান মারা যায়।
বাস চালক মিজান মোল্লা বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়া এবং চাঁদপুর পৌর বাস টার্মিনালে অবকাঠামো সমস্যাসহ পরিবহন নেতাদের পদত্যাগ ও দাবি-দাওয়া আদায়ে বাস চলাচল বন্ধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করে বাসশ্রমিকরা।
আজ ভোর ৫টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই সুযোগে সিএনজি, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস সহ অন্যান্য যানবাহনের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে চালকরা। তবে সমস্যা সমাধানে বাস মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন পুলিশ প্রশাসন।
এ ঘটনায় কয়েকজন বাস চালক বলেন, শ্রমিকদের উন্নয়নে পরিবহন ও মালিক সমিতি। আমাদের এক বাসচালক ভাই আজ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। পরিবহন নেতারা তার কোনো খোঁজ-খবর নেয়নি। এমনকি তারা তার জানাজায়ও আসেনি। পৌর বাস টার্মিনালের কোনো অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি তাদের কারণে। আমাদের কষ্টের টাকা তারা আত্মসাৎ করছে। শুধু মিজান নয় মিজানের মতো অনেকেই বিনা চিকিৎসা এবং সহযোগিতার অভাবে মারা গেছে। পরিবহন নেতাদের পদত্যাগ দাবি করছি আমরা। তবে এমতাবস্থায় আমাদের সকল দাবি-দাওয়া মেনে না নিলে আমাদের বিক্ষোভ চলবে।
এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, শ্রমিকরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ ও বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে বাস দুর্ঘটনায় এক চালক নিহত হওয়ার ঘটনায়। তাদের অভিযোগ, চালক মিজান বিনা চিকিৎসা ও সহযোগিতার অভাবে মারা গেছে। পরিবহন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি, যেন দ্রুত এটি সমাধান করা হয়।